তীব্র গরমে চরম ভোগান্তিতে মানুষ
- আপডেট সময় : ০৫:২২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২
- / ১৬৫০ বার পড়া হয়েছে
আষাঢ় মাস শেষ। কাল থেকে শুরু শ্রাবণ। বর্ষার এমন ভরা মৌসুমেও দেশজুড়ে চলছে অস্বাভাবিক খরা। তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। একটু বৃষ্টির জন্য সবাই তাকাচ্ছেন আকাশের দিকে। কিন্তু বৃষ্টি ঝরানো মেঘের গনঘটা নেই। তীব্র গরমে কাজ করতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। তার ওপর দফায় বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে অতিষ্ঠ জনজীবন। একটু প্রশান্তি পেতে অনেকে ঘর ছেড়ে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। আগামী অন্তত আরো এক সপ্তাহ এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চল জুড়ে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে প্রকৃতি। আষাঢ় শেষেও বৃষ্টির দেখা নেই। সকাল থেকেই যেন আগুন ঝরাচ্ছে সূর্য। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। টানা তাপদাহে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। দুপুর গড়াতেই প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে মাঠঘাট সব ফাঁকা হয়ে পড়ছে। পথচারীরা গাছের ছায়া পেলেই বিশ্রাম নিচ্ছেন। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে পশু-পাখিরাও। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। মেঘ-বৃষ্টির দেখা না মেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে রোদের তাপ। কৃষিতে দেখা দিয়েছে সেচ সংকট। শুকিয়ে যাচ্ছে আমন-চারা। সকালেই জেলার তাপমাত্রা ওঠে ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এ অবস্থা ২০ জুলাই পর্যন্ত চলতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি আবহাওয়া বিভাগ।
তীব্র তাপদাহে দিনাজপুরের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। দিনের তাপমাত্রা থাকছে ৩৭ থেকে ৩৯ ডিগ্রীর মধ্যে। তীব্র গরমের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। আবহাওয়া বিভাগ আরো এক সপ্তাহ এ অবস্থা চলমান থাকার আভাস দিয়েছে।
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ রংপুরবাসী। এক সপ্তাহরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুই ছুই করছে। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কর্মজীবী মানুষের জীবন।
জামালপুরে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে তীব্র তাপদাহ। বৃষ্টিবিহীন পরিবেশে হাঁপিয়ে উঠেছে এই জনপদের মানুষ। তীব্র তাপদাহে শহরের ব্যস্ততম এলাকাগুলো দুপুর থেকেই জনশুন্য হয়ে পড়ছে।
ভ্যাপসা গরম আর থেমে থেমে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে গাইবান্ধায় অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গরমে যেন পুড়ছে শহরবাসী। তার ওপর সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক দফায় বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে অতিষ্ঠ জনজীবন।
খুলনায় গরমের তীব্রতায় অতিষ্ঠ জনজীবন। আকাশে মেঘ থাকলেও বৃষ্টির দেখা নেই। বাইরে বেরুলেই সূর্যের প্রখর তাপে ঘেমে নেয়ে একাকার সবাই। তীব্র খরতাপে হতদরিদ্র দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের আয়-রোজগার কমে গেছে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শ্রমজীবী মানুষ ও শিশুরা। দিনমান বাড়ছে কষ্ট ও দুর্ভোগ।
চাঁদপুরে তীব্র তাপদাহে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ। আগামী আরো ৪/৫ দিন এমন অবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।