তীব্র ঠান্ডায় ধস নেমেছে ফুলের সাম্রাজ্য যশোরের গদখালিতে
- আপডেট সময় : ১১:৩৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৬২৭ বার পড়া হয়েছে
শনির দশা কাটছে না ফুলসাম্রাজ্য খ্যাত যশোরের গদখালির ফুলচাষীদের। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই আম্পানের ছোবলে পুনরায় ক্ষতিগ্রস্থ হন চাষীরা। আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেই বৃষ্টি আর তীব্র শীতে ধস নেমেছে ফুলের রাজ্যে। চলতি মাসের মাঝামাঝি মাত্র ২ দিন বৃষ্টিতে প্রভাব পড়েছে গাঁদা, গ্লাডিইউলাস, গোলাপ ও চন্দ্রমল্লিকা ফুলে। ক্ষেত ভর্তি ফুটন্ত ফুলে পচন ধরেছে আর গোলাপ ক্ষেতে আক্রমণ হয়েছে ভাইরাসের। ভরা মৌসুমে বিক্রি উপযোগী ফুল বাজারে তুলতে না পারায় ব্যাপক লোকশানে চাষীরা।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি এলাকার মাঠের পর মাঠ ফুটে আছে গাঁদা, গোলাপ, গ্লাডিইউলাস, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা রঙের ফুল। কিন্তু ২টি নিম্নচাপে ভারি বৃষ্টিপাত আর শীতের তীব্রতায় ফুলের ক্ষেতে পচন ধরেছে। ফুলে ফুলে কালচে দাগে বিক্রি হচ্ছে না ফুল। এমন পরিস্থিতিতে লাভের পরিবর্তে বড় লোকশানের মুখে ফুল চাষীরা।
চাষীরা বলছেন, গোলাপের ভরা মৌসুম না হলেও এরই মধ্যে ফুটতে শুরু করেছে ফুলের রাণী। কিন্তু বৃষ্টি, প্রচন্ড ঠান্ডায় ক্ষেতে ভাইরাসের আক্রমণে দিশেহারা তারা। প্রতিকার করতে না পারলে আর্থিক সংকটে পড়ার আশংঙ্কা চাষীদের।
বিরাজমান পরিস্থিতিতে ফুল চাষীদের ক্ষতির অংক কয়েক কোটি বলে দাবি করেন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি’র এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, সমস্যা সমাধানে কাজ করছে কৃষি
বিভাগ। যেহেতু ফুলের পর্যাপ্ত দাম, ফলে লোকশান কাটিয়ে উঠতে পারবেন চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, জেলার ঝিকরগাছার গদখালিতে সবচেয়ে বেশি এবং নানা প্রকার ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়ে থাকে।