তুলে নেওয়ার’ এক মাস পর গ্রেপ্তার দেখানোর অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৫:২৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
- / ১৫৫৪ বার পড়া হয়েছে
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইকরামুল হক মিলন (২৮), তার স্ত্রী দেওয়ান ফারিয়া আফরিন আনিকা (২১) ও তাদের ছয় মাস বয়সি ছেলে৷
মিলন সূত্রাপুরের ফরিদাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষক৷
ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে গত ১ মে মিলনের ভাই ইমদাদুল হক ইমনের অভিযোগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে৷
শিশুসন্তানকে নিয়ে মিলন ও আনিকা তাদের বড়চরের বাড়ি থেকে সানকিপাড়ার দিকে রিকশায় করে যাওয়ার সময় নয়নমনি বাজারের সামনে একটি টয়োটা হাইয়েস গাড়ি তাদের বাধা দেয়৷ এছাড়া গাড়ির গায়ে পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিল বলে অভিযোগে বলা হয়েছে৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীদের জানিয়েছেন, সাদা পোশাকে দুই পুরুষ ও এক নারী ওই তিনজনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়৷ তখন থেকেই ওই দম্পতির মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়৷
ঘটনাস্থল থেকে শিশুর ডায়াপার ব্যাগসহ তাদের অন্যান্য ব্যাগগুলো পাওয়া গেলেও, মিলনের সঙ্গে থাকা ল্যাপটপটি পাওয়া যায়নি বলে জানান তার ভাই ইমন৷
পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, তারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করার চেষ্টা করলেও থানা সেটি নেয়নি৷
নিখোঁজ তিনজনের সন্ধান পেতে পরিবারটি যখন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করছিল, তখন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের সদস্য হওয়ার অভিযোগে ঢাকার সবুজবাগ থানার এক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর একদিন পর গত ৩১ মে আদালতে এই তিনজনকে হাজির করা হয়৷
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওইদিন অভিযান চালিয়ে ওই দম্পতিকে রাজধানীর সবুজবাগের একটি খেলার মাঠ থেকে আটক করা হয়েছে৷
মিলনকে তিন দিনের রিমান্ডে এবং আনিকা ও শিশুসন্তানকে কারাগারে পাঠানো হয়৷
পরিবারের সদস্যরা ডেইলি স্টার পত্রিকাকে জানিয়েছেন, শিশুটির খাওয়ার বোতল ভেঙে যাওয়ার পর আনিকাকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হলে তারা ওই তিনজনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন৷
পরে মিলনের বাবা শিশুটির হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করলে আদালত তাকে অনুমতি দেন৷ গত ৮ মে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শিশুটিকে বাড়িতে আনা হয়৷
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপ-কমিশনার এস এম নাজমুল হক জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৩০ মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সবুজবাগের আব্দুল আজিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের রাস্তায় আনসার-আল-ইসলামের ‘গোপন নিয়োগ সভা’ করছিলেন মিলন ও আনিকা৷
খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে৷ বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ পুলিশের দাবি, মিলন জঙ্গি সংগঠনের একজন রিক্রুটার ছিলেন এবং তার স্ত্রী তাকে সাহায্য করতেন৷
তবে আনিকার সঙ্গে যে তার শিশুসন্তান ছিল সে বিষয়ে মামলার বিবরণীতে কোনো উল্লেখ নেই৷
ডয়চে ভেলে