০৯:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

তুলে নেওয়ার’ এক মাস পর গ্রেপ্তার দেখানোর অভিযোগ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:২৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
  • / ১৫৫৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত ৩০ এপ্রিল ময়মনসিংহ থেকে ছয় মাসের শিশু সন্তানসহ এক দম্পতিকে ‘তুলে নেওয়ার’ এক মাস পর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অভিযোগ উঠেছে৷

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইকরামুল হক মিলন (২৮), তার স্ত্রী দেওয়ান ফারিয়া আফরিন আনিকা (২১) ও তাদের ছয় মাস বয়সি ছেলে৷

মিলন সূত্রাপুরের ফরিদাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষক৷

ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে গত ১ মে মিলনের ভাই ইমদাদুল হক ইমনের অভিযোগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে৷

শিশুসন্তানকে নিয়ে মিলন ও আনিকা তাদের বড়চরের বাড়ি থেকে সানকিপাড়ার দিকে রিকশায় করে যাওয়ার সময় নয়নমনি বাজারের সামনে একটি টয়োটা হাইয়েস গাড়ি তাদের বাধা দেয়৷ এছাড়া গাড়ির গায়ে পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিল বলে অভিযোগে বলা হয়েছে৷

প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীদের জানিয়েছেন, সাদা পোশাকে দুই পুরুষ ও এক নারী ওই তিনজনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়৷ তখন থেকেই ওই দম্পতির মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়৷

ঘটনাস্থল থেকে শিশুর ডায়াপার ব্যাগসহ তাদের অন্যান্য ব্যাগগুলো পাওয়া গেলেও, মিলনের সঙ্গে থাকা ল্যাপটপটি পাওয়া যায়নি বলে জানান তার ভাই ইমন৷

পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, তারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করার চেষ্টা করলেও থানা সেটি নেয়নি৷

নিখোঁজ তিনজনের সন্ধান পেতে পরিবারটি যখন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করছিল, তখন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের সদস্য হওয়ার অভিযোগে ঢাকার সবুজবাগ থানার এক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর একদিন পর গত ৩১ মে আদালতে এই তিনজনকে হাজির করা হয়৷

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওইদিন অভিযান চালিয়ে ওই দম্পতিকে রাজধানীর সবুজবাগের একটি খেলার মাঠ থেকে আটক করা হয়েছে৷

মিলনকে তিন দিনের রিমান্ডে এবং আনিকা ও শিশুসন্তানকে কারাগারে পাঠানো হয়৷

পরিবারের সদস্যরা ডেইলি স্টার পত্রিকাকে জানিয়েছেন, শিশুটির খাওয়ার বোতল ভেঙে যাওয়ার পর আনিকাকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হলে তারা ওই তিনজনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন৷

পরে মিলনের বাবা শিশুটির হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করলে আদালত তাকে অনুমতি দেন৷ গত ৮ মে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শিশুটিকে বাড়িতে আনা হয়৷

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপ-কমিশনার এস এম নাজমুল হক জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৩০ মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সবুজবাগের আব্দুল আজিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের রাস্তায় আনসার-আল-ইসলামের ‘গোপন নিয়োগ সভা’ করছিলেন মিলন ও আনিকা৷

খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে৷ বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ পুলিশের দাবি, মিলন জঙ্গি সংগঠনের একজন রিক্রুটার ছিলেন এবং তার স্ত্রী তাকে সাহায্য করতেন৷

তবে আনিকার সঙ্গে যে তার শিশুসন্তান ছিল সে বিষয়ে মামলার বিবরণীতে কোনো উল্লেখ নেই৷

ডয়চে ভেলে

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

তুলে নেওয়ার’ এক মাস পর গ্রেপ্তার দেখানোর অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:২৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

গত ৩০ এপ্রিল ময়মনসিংহ থেকে ছয় মাসের শিশু সন্তানসহ এক দম্পতিকে ‘তুলে নেওয়ার’ এক মাস পর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অভিযোগ উঠেছে৷

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইকরামুল হক মিলন (২৮), তার স্ত্রী দেওয়ান ফারিয়া আফরিন আনিকা (২১) ও তাদের ছয় মাস বয়সি ছেলে৷

মিলন সূত্রাপুরের ফরিদাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষক৷

ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে গত ১ মে মিলনের ভাই ইমদাদুল হক ইমনের অভিযোগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে৷

শিশুসন্তানকে নিয়ে মিলন ও আনিকা তাদের বড়চরের বাড়ি থেকে সানকিপাড়ার দিকে রিকশায় করে যাওয়ার সময় নয়নমনি বাজারের সামনে একটি টয়োটা হাইয়েস গাড়ি তাদের বাধা দেয়৷ এছাড়া গাড়ির গায়ে পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিল বলে অভিযোগে বলা হয়েছে৷

প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীদের জানিয়েছেন, সাদা পোশাকে দুই পুরুষ ও এক নারী ওই তিনজনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়৷ তখন থেকেই ওই দম্পতির মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়৷

ঘটনাস্থল থেকে শিশুর ডায়াপার ব্যাগসহ তাদের অন্যান্য ব্যাগগুলো পাওয়া গেলেও, মিলনের সঙ্গে থাকা ল্যাপটপটি পাওয়া যায়নি বলে জানান তার ভাই ইমন৷

পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, তারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করার চেষ্টা করলেও থানা সেটি নেয়নি৷

নিখোঁজ তিনজনের সন্ধান পেতে পরিবারটি যখন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করছিল, তখন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের সদস্য হওয়ার অভিযোগে ঢাকার সবুজবাগ থানার এক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর একদিন পর গত ৩১ মে আদালতে এই তিনজনকে হাজির করা হয়৷

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওইদিন অভিযান চালিয়ে ওই দম্পতিকে রাজধানীর সবুজবাগের একটি খেলার মাঠ থেকে আটক করা হয়েছে৷

মিলনকে তিন দিনের রিমান্ডে এবং আনিকা ও শিশুসন্তানকে কারাগারে পাঠানো হয়৷

পরিবারের সদস্যরা ডেইলি স্টার পত্রিকাকে জানিয়েছেন, শিশুটির খাওয়ার বোতল ভেঙে যাওয়ার পর আনিকাকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হলে তারা ওই তিনজনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন৷

পরে মিলনের বাবা শিশুটির হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করলে আদালত তাকে অনুমতি দেন৷ গত ৮ মে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শিশুটিকে বাড়িতে আনা হয়৷

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপ-কমিশনার এস এম নাজমুল হক জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৩০ মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সবুজবাগের আব্দুল আজিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের রাস্তায় আনসার-আল-ইসলামের ‘গোপন নিয়োগ সভা’ করছিলেন মিলন ও আনিকা৷

খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে৷ বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ পুলিশের দাবি, মিলন জঙ্গি সংগঠনের একজন রিক্রুটার ছিলেন এবং তার স্ত্রী তাকে সাহায্য করতেন৷

তবে আনিকার সঙ্গে যে তার শিশুসন্তান ছিল সে বিষয়ে মামলার বিবরণীতে কোনো উল্লেখ নেই৷

ডয়চে ভেলে