তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে অভিনব টেন্ডারবাজী
- আপডেট সময় : ০২:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩
- / ১৭৭৫ বার পড়া হয়েছে
এবার অভিনব এক টেন্ডারবাজী হয়েছে রাষ্ট্রয়াত্ব একমাত্র তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। যাতে নেতৃত্ব দেন অপারেশন এন্ড প্লানিং বিভাগের জিএম রায়হান আহমাদ। পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কাউকে দরপত্র জমা দিতে দেননি তিনি। অভিনব এই টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানিয়ে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান মালিকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনার মাধ্যমে জ্বালানী খাতের অনিয়মের আরেকটি দৃষ্টান্ত সামনে এল। এব্যাপারে কথা বলতে ইস্টার্ন রিফাইনারীতে গিয়ে দিনভর বসে থেকেও সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তার দেখা পায়নি এসএটিভি।
রাষ্ট্রিয় তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির ৬১১৯ নম্বর ফার্নেস অয়েল স্টোরেজ ট্যাংক ও ৬১৩২ নম্বর ক্রুড অয়েল স্টোরেজ ট্যাংকে জমা স্লাজ বিক্রির জন্য দরপত্র আহবান করে প্রতিষ্ঠানটি। স্লাজ কেনার আগ্রহ দেখিয়ে ৯ টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র সংগ্রহ করে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে জমা দেয় মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠান। বাকিদের সকাল থেকে বসিয়ে রাখা হয় প্রতিষ্ঠানের গেইটে। দুপুরের পর অফিসে ঢোকার অনুমতি দিলেও সময় শেষ হয়ে যাওয়ার অজুহাতে কারোর দরপত্র গ্রহণ করেনি অপারেশন এন্ড প্লানিং বিভাগের জিএম রায়হান আহমাদ।
অভিনব এই টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিলের আবেদন জানিয়ে বিপিসি, জেলা প্রশাসক ও দুদকে ধর্ণা দেয়ার পাশাপাশি ইস্টার্ন রিফাইনারীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ভুক্তোভোগী ঠিকাদাররা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্টোরেজ ট্যাংকে জমা স্লাজ বছরে একবার করে পরিস্কার করলেই চলে। কিন্তু ইআরএল মাঝে মধ্যেই স্লাজ বিক্রির উদ্যোগ নেয়। কারণ স্লাজের আড়ালে পাচার করা হয় বিপুল পরিমান জ্বালানী তেল। আর তাই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড আর ঢাকার নারায়নগঞ্জের ৩/৪ টি প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কাউকে দরপত্রে অংশই নিতে দেয় না ইস্টার্ন রিফাইনারি। এতে হতবাক বিশ্লেষকরা।
এ ব্যাপারে কথা বলতে ইআরএল কার্যালয়ের গেইটে দিনভর বসে থেকেও দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তার দেখা পায়নি এসএ টিভি। কয়েক দফায় টেলিফোনে যোগাযোগের পর সিকিউরিটি বিভাগ থেকে জানিয়ে দেয়া হয় সবাই ব্যাস্ত আছেন। যে কোন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছাড়াও নিয়ন্ত্রক অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টেন্ডার বক্স বসানোর নিয়ম থাকলেও এক্ষেত্রে সে নিয়ম মানা হয়নি। এমনকি ই-টেন্ডারের সুবিধাও রাখেনি ইস্টার্ন রিফাইনারি।