দক্ষিণ আমেরিকায় জন্মানো চিয়া সীড এখন বাংলাদেশেও উৎপাদ
- আপডেট সময় : ০৬:৩১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৬২০ বার পড়া হয়েছে
সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আমেরিকায় জন্মানো চিয়া সীড এখন বাংলাদেশেও উৎপাদন শুরু হয়েছে। মাগুরা সদর উপজেলার আঠারোখাদা ইউনিয়নের নালিয়ারডাঙ্গি ও আলীধানী গ্রামে এবছর প্রায় ১০ বিঘা জমিতে ১৬ জন চাষী চিয়া সীড চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় এবং বাজার দর ভালো থাকায় চিয়া সীড চাষে কৃষক লাভবান হবেন বলে আশা কৃষি কর্মকর্তাদের।
চিয়া সীডে বাড়তি ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসসহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বেশী থাকায় হার্টের সুরক্ষা, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রকে স্বাভাবিক রাখতে দারুন কার্যকরী। যে কোন শরবত, দই বা সালাদের সাথেও মিশিয়ে চিয়া বীজ খাওয়া যায়।
চিয়া ফসলে রোগবালাই, সার ও সেচ খরচ কম কিন্তু দাম বেশী পাওয়ায় চিয়া সীড চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৬ মণ ফলন, আর কেজিপ্রতি ৪শ’ টাকা দরে কৃষক প্রতিমণ বিক্রি করেন ১৬ হাজার টাকায়। সাধারণত নভেম্বরের শেষার্ধ থেকে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে বীজ বপণ করে ৪ মাসের মধ্যে ফসল তোলা যায়।
প্রতিবন্ধী কৃষক আক্কাসের হাত ধরে গতবছর স্বল্প পরিসরে মাগুরায় প্রথম চিয়া ফসলের চাষ শুরু। তার সাফল্য দেখে এলাকার আরো ১৫ কৃষক চিয়া চাষে আগ্রহী হওয়ায় এ বছর জেলায় প্রায় ১০ বিঘা জমিতে এর চাষ হয়েছে।
দেশে চাহিদা বাড়ায় প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে চিয়া সীড আমদানী হচ্ছে। এখন স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় ঘটিয়ে কৃষকও লাভবান হবেন বলে আশা কৃষি বিভাগের।
বিদেশী ফসল হিসেবে নতুন চাষ হওয়ায় এবং চমৎকার চিয়া ফুল দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন অনেকে।
ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে চিয়া বীজের উপকারিতা সবার মাঝে নতুন সাড়া ফেলায় বাজারে এর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।