দশ থেকে ১২ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ট্রেনের টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা
- আপডেট সময় : ০৭:৫৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
- / ১৫৭৩ বার পড়া হয়েছে
ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের আগাম বিক্রির চতুর্থ দিনেও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ করেছে বেশিরভাগ যাত্রী। এদিন দেয়া হয় ৩০ এপ্রিলের টিকিট। সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হলে বেলা ১১টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় প্রায় সব ট্রেনের টিকিট। ফলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাননি বেশিরভাগ যাত্রী। অন্যদিকে অনলাইন সার্ভারেও ঢোকা যায়নি। টিকিট বুকিং দেয়ার আগেই টাইম আউট হয়ে বের হয়ে যেতে হচ্ছে। এমন নানা অভিযোগে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। সেই সঙ্গে কাউন্টারে টিকিট বিক্রিতেও অনিয়মের অভিযোগ তাদের।
গাইবান্ধার ষাটোর্ধ্ব নুরজাহান বেগম। ২৮ বছর ধরে থাকেন রাজধানী ঢাকায়। গ্রামে নাতি-নাতনীদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে যেতে হবে। তাইতো রাত তিনটায় আসেন কমলাপুর রেলস্টেশনে। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও কাঙ্খিত টিকিট মিলবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় তিনি।
এরকম হাজারো নূরজাহানদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর কষ্টে ভারী কমলাপুর রেলস্টেশন। পরিবার-পরিজনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে মধ্যরাত থেকে অপেক্ষার পরও কাউন্টারের সামনে পৌঁছে টিকিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা।
তবে সবাইকে খালি হাতে ফিরতে হয়নি, কেউ কেউ দীর্ঘ অপেক্ষার পর হাতে পেয়েছেন টিকিট নামের সোনার হরিণ।
একটি টিকিটের জন্য দু’তিন দিন ধরে হাজারবার অনলাইনে ঢোকার চেষ্টা করেও সফল হতে না পেরে বাধ্য হয়ে কাউন্টারে টিকিট কাটতে আসেন অনেকে।
তবে যাত্রীদের এসব অভিযোগ মানতে নারাজ কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার। তার দাবি- প্রতিদিন প্রায় ২৮ হাজার টিকিট সাধারণ যাত্রীদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে।
ট্রেনে বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিক ঈদযাত্রা শুরু হরার কথা থাকলেও আগেই ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে অনেককে।
ঈদের ছুটিতে বাড়তি ঝক্কি-ঝামেলা থেকে বাঁচতেই পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু আগেভাগেই ঢাকা ছাড়ছেন বলে জানান তারা।