দাবানল নেভাতে গিয়ে গ্রিসে ভেঙে পড়ল বিমান
- আপডেট সময় : ১২:৫৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩
- / ১৭৩৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়াবহ গরমে গ্রিসের একাধিক জঙ্গলে আগুন লেগেছে। তা নেভাতে গিয়ে ভেঙে পড়েছে একটি বিমান। মৃত দুই।
গরমে কাহিল গ্রিস। বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষকে উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে যেতে হচ্ছে। কারণ, গরমে জঙ্গলে আগুন লেগে গেছে। এখনো পর্যন্ত সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার এথেন্সের কাছে এভিয়া দ্বীপের দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে একটি বিমান পৌঁছায়। দমকলের ওই বিশেষ বিমান আগুন নেভানোর জন্যই সেখানে গেছিল। কিন্তু বিমানটি কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। বিমানের দুই পাইলটের মৃত্যু হয়েছে।
গ্রিসের একাধিক অঞ্চলে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বেশ কিছু অঞ্চল থেকে স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকদের উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা রোডস এবং কোরফুতে। সেখান থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়েছে। তাপপ্রবাহের কারণে সিসিলির বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার তা আবার খোলা হয়েছে।
এদিকে এভিয়া দ্বীপেই এক মেষপালকের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আগুনে পুড়েই তার মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার থেকে ওই ব্যক্তি নিখোঁজ ছিলেন। গ্রিসে এই নিয়ে গরমের দাপটে মৃত্যু হল তিন জনের।
আলজেরিয়ার পরিস্থিতি
আলজেরিয়ার পরিস্থিতিও ভয়াবহ। সেখানেও বেশ কিছু এলাকায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। বুধবার ভোরে দেশের জাতীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, একাধিক জঙ্গলে আগুন লেগেছে। তবে প্রতিটি আগুনই আপাতত নিয়ন্ত্রণে বলে তারা জানিয়েছে। আলজেরিয়ায় শুধু দাবানলেই এখনো পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ১০ জন মারা গেছেন। ১৫০০ মানুষকে তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দাবানলে তাদের বাড়ি জ্বলে গেছে। আলজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে পৌঁছেছে।
পর্তুগাল এবং ক্রেয়েশিয়ার পরিস্থিতি
এই দুই দেশেও গরমে কাহিল অবস্থা। পর্তুগালের একটি আস্ত অভয়ারণ্যে আগুন লেগে গেছে। কয়েকশ দমকলকর্মী সেই আগুন নেভানোর কাজে নেমেছেন। কিন্তু আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রবল হাওয়ায় আগুন আরো ছড়াচ্ছে বলে দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন।
ক্রোয়েশিয়ার দক্ষিণেও দাবানল শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে ওই অঞ্চলে ঝড় আছড়ে পড়ায় আগুন আরো বেশি ছড়িয়েছে। সেখানেও দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েছেন। কিন্তু দাবানল এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
ডয়চে ভেলে