দাম বাড়বে আমদানি করা গাড়ি, মোটরসাইকেল, সিগারেট, প্রসাধনী ও বিলাস সামগ্রীর
- আপডেট সময় : ০৮:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২
- / ১৫৯৪ বার পড়া হয়েছে
বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে নতুন করে শুল্ক ও কর আরোপের প্রস্তাবনা রয়েছে। পাশাপাশি জনস্বার্থে ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় রয়েছে শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়। এতে দাম বাড়বে আমদানি করা গাড়ি, মোটরসাইকেল, সিগারেট, প্রসাধনী ও বিলাস সামগ্রীর। কমবে দেশে উৎপাদিত যান, কম্পিউটারসহ আইসিটি ও কৃষি পণ্যের দাম।
দেশের ৫১তম বাজেটে যেসব পন্যের দাম বাড়তে পারে, অর্থবিলে সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরে বাড়বে আমদানি করা বিলাসী পণ্যের দাম।
দাম বাড়বে প্যাকেটজাত খাদ্য, গুঁড়ো দুধ, চিজ, আমদানীকৃত মোবাইল ফোন, বিড়ি-সিগারেট, বডি স্প্রে, এসি, ফ্রিজ, প্রাইভেট কার, মোটর সাইকেল, ল্যাপটপ, প্রিন্টার প্রভৃতির। এসব ক্ষেত্রে আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
দাম বৃদ্ধির তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি। ৪০০০ সিসির ওপরে বিলাসবহুল রিকন্ডিশন গাড়িতে সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও আগাম কর-ভ্যাট মিলিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে করভার ১ হাজার শতাংশেরও বেশি।
এর আগে ২৩ মে’তে দেয়া প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিদেশি ফল, বিদেশি ফুল, ফার্নিচার ও কসমেটিকস জাতীয় ১৩৫টি এইচএস কোডভুক্ত পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়। যা আগে ৩ শতাংশ ছিলো।
অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে এবারে বাড়ছে তামাকজাত পণ্যের দাম। অগ্রিম কর আরোপের কারণে দাম বাড়বে মদ ও অ্যালকোহল জাতীয় পণ্যের। প্রস্তাবিত বাজেটে মদ আমদানিতে অগ্রিম কর ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
বাজেট শুধু দামই বাড়াবে না, কোন কোন জিনিষের দাম কমাবেও। এবারের বাজেটে দাম কমানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে এমন পণ্যের মধ্যে রয়েছে…. নির্মাণ সামগ্রী, দেশীয় মোটর গাড়ি, স্যানিটারি ন্যাপকিন, সিসিটিভি, প্রেসার কুকার, মুড়ি, ওভেন, দেশীয় ফোন এবং বিদেশী ফার্নিচার।
প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় শিল্পের বিকাশে কিছু কিছু শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব রয়েছে। বিপরীতে, আমদানি করা ওই জাতীয় পণ্যে ২০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক দিতে হবে। ফলে স্থানীয় শিল্পে উৎপাদিত কম্পিউটার ও আইসিটি পণ্যের দাম কমতে পারে।
ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা পাচ্ছে দেশে তৈরি গাড়ি শিল্প। ফলে মোটরগাড়ি তৈরিতে যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের পাশাপাশি ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব করা হয়েছো। ফলে দেশে তৈরি গাড়ি তুলনামূলক কম দামে মিলবে।
একই কারণে কমবে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের দাম। এছাড়া কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ কর সুবিধার প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে।