ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোষ্ঠীগত বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষ
- আপডেট সময় : ০১:২৭:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
- / ১৯১৩ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় গোষ্ঠীগত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও নারীসহ ৩৮ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এর মধ্যে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যান রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে চা পানের কথা বলে থানায় ডেকে তাদের জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
গত ১২ নভেম্বর পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ঘটে। বিষয়টি সমাধানে ১৩ নভেম্বর সকালে ওই দুই গোষ্ঠীর প্রধানসহ স্থানীয় মোড়লদের থানায় ডেকে নিয়ে সালিশে বসেন ওসি। সালিশ চলাকালেই গ্রামে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। দিনভর ওসির রুমে বসিয়ে রেখে সন্ধ্যায় সালিশে আসা উভয়পক্ষের ২৩ জনকে আটক করে ১৫১ ধারায় জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। ৮ দিন জেল খেটে সম্প্রতি কয়েকজন জামিনে আসেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত না থাকা স্বত্বেও পুলিশ নারীদের আটক করেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এ ঘটনায় নিজের পক্ষে সাফাই গাইতে দেখা যায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। সালিশ ও আটকের কথা স্বীকার করলেও তার দাবি থানার আশপাশ থেকে ঐ ২৩জনকে আটক করা হয়।
চায়ের নিমন্ত্রণ জানিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর ঘটনায় আইনের ব্যতয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার আইন কর্মকর্তা। এদিকে,আইন প্রয়োগ বিধিমত না হলে ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। পুলিশের এমন আচরণে এলাকায় আবারও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশংকা স্থানীয়দের।