দুই বছর ধরে পেটে কাঁচি : অস্ত্রোপচারে মিললো মুক্তি
- আপডেট সময় : ০৫:১৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মনিরা নামের এক নারীর পেট থেকে অবশেষে কাঁচি বের করা হয়েছে।এখন তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। চিকিৎসকের ভুলে প্রায় দুই বছর পেটে কাঁচি থাকায় নানা ভোগান্তির শিকার হন মনিরা। তার সুচিকিৎসা ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
গত বছরের মার্চে পেটের টিউমার অপারেশনের জন্য গোপালগঞ্জের মনিরা বেগম ভর্তি হন ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেই অপারেশন করেন হাসপাতালের চিকিৎসক মোল্যা সরফুদ্দিন আহমেদ ও সালেহ মোঃ সৌরভ। অস্ত্রোপচারের কয়েকদিন পর মনিরা বাড়ি ফিরে যান। পরে, পেটের ব্যথায় ভুগলে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন তিনি।। এ সময় অন্ত:সত্ত্বা হলেও গর্ভপাত হয়ে যায়। এ নিয়ে সর্ম্পকের অবনতি হলে এক পর্যায়ে মনিরাকে ছেড়ে চলে যায় তার স্বামী।
গত কয়েক দিন আগে পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হলে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে এক্সরে করান। মনিরার পেটে কাচির অস্তিত্ব পেলে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। গত শুক্রবার মনিরাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার অপারেশন করে তার পেটে থেকে কাচিটি বের করা হয়। বর্তমানে মনিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবী করেছেন তার স্বজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুলের বিষয়টি ক্ষমার অযোগ্য। দরিদ্র মনিরার চিকিৎসাসহ তাদের সব খচর বহনের দাবি জানিয়েছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
অনেক চেষ্টা করেও অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালের পরিচালক জানান, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৫ কর্মদিবসের মদ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
মনিরার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।