দু’দফা বন্যার রেশ কাটার আগেই আরেক দফা বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে সিলেট অঞ্চলে। পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে সিলেটে অতিবৃষ্টির আশঙ্কা আছে। এছাড়া ও ভারতের চেরাপুঞ্জির ভারী বৃষ্টি উজানের ঢলের সৃষ্টি করবে। ফলে দু’দফা বন্যায় ১০ উপজেলাসহ নগরীর ৮ লাখ বন্যাকবলিত মানুষের ভোগান্তি আরো বাড়বে।

অতিবৃষ্টি আর উজানের ঢলে মে ও জুনে সিলেটজুড়ে বন্যা দেখা দেয়। প্রথমদফা বন্যা স্বল্প মেয়াদি হলেও দুর্ভোগে পড়েন ৯ লাখ মানুষ। আর দ্বিতীয় দফার বন্যার পানিতে ভাসছে নিম্নাঞ্চল। সিলেটের ১০ উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের ২৩টি ওয়ার্ড আবারো প্লাবিত হয়। ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। পানি কমে ভেসে উঠতে শুরু করেছে বন্যার ক্ষত।

সাধারণ মানুষের বাড়িঘর যেমন বানের পানিতে তলিয়ে গেছে তেমনি রাস্তাঘাটও ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বাড়ি ফেরা মানুষগুলো যখন ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রামে, তখনই নতুন করে বন্যার পূর্বাভাস। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পরবর্তী ৭২ ঘন্টা সিলেটে অতিবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এরসাথে চেরাপুঞ্জির অতিবৃষ্টি উজানের ঢলে সিলেট অঞ্চলে ফের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
দফায় দফায় বন্যায় সিলেটে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে ৮ জুলাই পর্যন্ত। নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, তা আবারো পিছিয়ে যেতে পারে।