দুর্নীতিবাজ রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে
- আপডেট সময় : ০২:০২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্নীতিবাজ রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চট্টগ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থায়। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা না দেয়ার অভিযোগও কমেছে আগের চেয়ে। স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি সময়মত সব পদক্ষেপ নেয়ায় করোনাকে বাগে রাখতে সক্ষম হয়েছেন তারা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, শনাক্তের হার আর মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও সামাজিক সংক্রোমন আগের মতোই রয়েছে। তাই এখনই আত্মতৃপ্তিতে তুষ্ট হলে বিপর্যয় ঘটতে পারে যেকোন সময়।
শুক্রবার চট্টগ্রামের ৭ টি ল্যাবে ৮৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৭ জনকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের। অথচ চলতি মাসের প্রথম দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো সাড়ে তিনশোর বেশী, ওইদিন মৃতের তালিকায় যুক্ত হয়েছিলো ১১ জন। আর বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছিলো অন্তত ১০ জনের।
শুরুতে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা না দেয়ার অভিযোগের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন ও চিকিৎসা সরঞ্জানের তীব্র সংকটের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।এখন সরকার কঠোর হওয়ায় সুফল মিলছে বললেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক। এদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দাবি, নমুনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণ, সাধারণ মানুষের ভীতি কমে আসাসহ নানা কারনে টেস্টের সংখ্যা কমায় আক্রান্তের প্রকৃত চিত্র বোঝা যাচ্ছে না। তবে চিকিৎসার কারণে মৃত্যুর হার কমলেও সামাজিক সংক্রমণ রয়েছে আগের মতোই।
চিকিৎসক নেতারা বলছেন, নানান অব্যবস্থাপনা আর পাল্টা-পাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে সংক্রমনের প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে উঠা হয়েছে। কোরবানীর ঈদকে ঘিরে দ্বিতীয় ধাক্কা আসার আশংকা সামনে। তাই আগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পরের বারের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার এখনই সময়। চট্টগ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয় গেল ৩ এপ্রিল। এরই মাঝে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৪ হাজারের ঘরে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজারের কাছাকাছি। আর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮ শতাধিক রোগী। বাকিরা বাসায় থেকেই নিজ দায়িত্বে চিকিৎসা নিচ্ছেন।