দেশের আইন মেনেই বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করতে হবে : তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের আইন মেনেই বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করতে হবে। সরকারকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা ফাঁকি দিয়ে এ নিয়ে ক্যাবল অপারেটরদের আন্দোলনের হুমকি অযৌক্তিক বলেও মনে করেন তিনি। এদিকে, ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন — কোয়াবের নেতারা বলছেন, বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে চালাতে হলে, আরো অন্তত দেড় বছর সময় দরকার।
ভারতে দেখানো হয় না কোনো বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল। বাংলাদেশের একটি টিভি চ্যানেল দেখাতে সেখানে বিজ্ঞাপনের শুল্ক-কর ছাড়াও বছরে ৪ কোটি রুপী ফি দাবী করা হয়। ফলে ১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে বাড়ছে না বাংলাদেশের পণ্যবাজার। অথচ বাংলাদেশে ঘটছে উল্টোটি। দুই বছর সময় দেয়ার পর, সম্প্রচার আইন ও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী গত ১ অক্টোবর থেকে বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে প্রচারের নির্দেশনা দেয় সরকার। কিন্তু সেদিন থেকে ক্লিন ফিডসহ সব বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচারই বন্ধ করে দেয় ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন– কোয়াব।
সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আইন মেনে বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করতে হবে। কিন্তু, সব চ্যানেল বন্ধ করে, জনগণকে জিম্মি করে, সুকৌশলে আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরি করা গ্রহণযোগ্য নয়।
মন্ত্রী বলেন, বিবিসি, সিএনএনসহ অন্তত ১৭টি চ্যানেল বিজ্ঞাপন মুক্তভাবে ক্লিনফিডে আসে। অথচ, অন্যায়ভাবে সেগুলোরও সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে কোয়াব। ডিজিটালাইজড না করতে পারার অজুহাতে আইন শিথিল রাখার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
ক্লিনফিড প্রচার না করায়, দেশীয় চ্যানেল বিজ্ঞাপন পাচ্ছে না। সরকারও বছরে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বিষয়টি স্বীকার করে ক্লিনফিডের জন্য আরো সময় চান, কোয়াবের এই নেতা।
বাংলাদেশে কোন বিদেশি চ্যানেল ক্লিনফিডে আসে না দাবি করে তিনি এজন্য প্রয়োজনীয় মেশিনপত্র বসাতে হবে বলে জানান।