ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত
- আপডেট সময় : ০৭:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
আজ ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি। সমগ্র মানবজাতির শিরোমণি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের দিন। বিশ্বের মুসলমানরা দিনটিকে ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিনটি। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। ধর্মপ্রাণ মানুষদের প্রত্যাশা, বিশ্বনবীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তার জন্মদিনে শান্তী ও অসাম্প্রদায়িক পৃথিবী নির্মাণ করা।
শান্তী ও অসাম্প্রদায়িক পৃথিবী নির্মাণের প্রত্যাশা ধর্মপ্রাণ মানুষের
সচ্ছ কাঁচে ঘেরা বিশেষ যানবাহনে চেপে সকাল সাড়ে ৮’টায় ষোলশহর আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের মাদ্রাসা থেকে বের হন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ। এসময় নানান ধর্মীয় শ্লোগানে আশপাশ মুখর করে রাখেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। এর আগেই চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আশা নবীভক্ত লাখো মানুষ অবস্থান নেন বন্দর নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে। বলেন মহানবীর জন্মদিনে উৎসব উদযাপন করতে এসেছেন তারা।
আল্লামা সাবির শাহকে বহন করা গাড়িটি মাঝে রেখে জুলুস এগোতে থাকে সামনে দিকে। অন্যান্য বছর নগরজুড়ে দিনভর এই জুলুস অনুষ্ঠিত হলেও এবছর করোনা আর দেশজুড়ে চলামান অস্থিরতার কথা বিবেচনায় নিয়ে মুরাদপুর থেকে ষোলশহরের দুই নম্বর গেইট মোড় পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রাখা হয় জুলুসের আকার।
আয়োজকদের প্রত্যাশা, এসব সংকট কেটে যাবে আগামীবার।
জুলুস শুরু আগে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের শান্তী কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন আল্লামা সাবির শাহ।
আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর এই জসনে জুলুসের আয়োজন করে আসছে। ধীরে ধীরে যা চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।