ধর্ষণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না মানসিক প্রতিবন্ধী ভবঘুরে নারীরাও
- আপডেট সময় : ১০:১১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
ধর্ষণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না মানসিক প্রতিবন্ধী ভবঘুরে নারীরাও। কাউকে বুঝিয়ে বলতে না পারায় তাদের উপর নির্যাতনের মাত্রাও বেশি। অন্ত:সত্বা হয়ে সন্তান প্রসবের ঘটনার পর, আবারো ধর্ষনের শিকার হচ্ছে। কোনো কোনো নবজাতকের ঠাঁই হচ্ছে বরিশাল বিভাগীয় ছোটমনি নিবাসে। আর, বেশীরভাগ সন্তানই চুরি হয়ে যাচ্ছে। বরিশাল বিভাগে এ ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটলেও, আজ পর্যন্ত কোনো অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। এই অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে, সচেতন মহল।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডর দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলনের সময়, বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডের পাশে এক ভবঘুরে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী প্রসব করে কন্যা সন্তান। গেল ৩ অক্টোবর বিকেলে ওই নারীর কাপড়ের মধ্য থেকে নবজাতকের কান্না শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। এরপর, পুলিশের মাধ্যমে মা ও শিশুকে পাঠানো হয় শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখন মাকে রাখা হয়েছে সেইভ হোমে। আর, কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় শিশুটির চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
সম্প্রতি জেলার মুলাদী, পটুয়াখালীর চরমোন্তাজ এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মানসিক ভারসাম্যহীন তিন নারী সন্তান প্রসব করেছে। পিরোজপুরে ওই নারী এর আগে দুইবার সন্তান জন্ম দিয়েছে। প্রতিবার নবজাতক চুরি হওয়ায এবার তাকে নজরে রাখে সমাজসেবা কর্মীরা। তবে, প্রসবের পর হাসপাতালে থেকে পালিয়ে গেছে সে।
ভবঘুরে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষন বেড়েছে জানিয়ে, অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন, সনাক সভাপতি।
ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্র ঢেলে সাজানোর উদ্যোগে নিয়েছে সরকার। এটি চালু হলে তারা নিরাপদে থাকবে বলে আশা করেন, এই কর্মকর্তা।
অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান, পুলিশ কমিশনার।
২০০৩ সালের জুলাই মাসে বরিশালের আগৈলঝড়ায় বিভাগীয় ছোট মনি নিবাসের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৭ বছরে ওই নিবাসে ১৪৭ শিশু লালন-পালন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের ফলে মানসিক প্রতিবন্ধীর গর্ভে জন্ম নেয়া ৩৩ শিশু।