নতুন পদ্ধতি আরোপ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ
- আপডেট সময় : ০১:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
রপ্তানী পণ্যের শুল্কায়নে এবার নতুন পদ্ধতি আরোপ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। নতুন নিয়মে পণ্য স্টাফিংয়ের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে শুল্কায়ন সম্পন্ন করতে হবে রপ্তানীকারককে। তবে এতে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির আশংকা করছে রপ্তানিমুখী শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন- বিজিএমইএ। আর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন বলছে, নতুন পদ্ধতি শতভাগ বাস্তবায়নে যে পরিমাণ জনবল প্রয়োজন তা কাস্টমসের নেই। যদিও কাস্টমস কমিশনারের দাবি, আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যে গতিশীলতা আনতেই এইপদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরের নির্দেশে পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে রপ্তানীপণ্যের শুল্কায়নে শুরু হয়েছে নতুন পদ্ধতি। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বল্প পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে চলবে নতুন পদ্ধতির প্রয়োগ। এরপর আসছে বছরের শুরু থেকেই তা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
নতুন এই পদ্ধতিতে রপ্তানি পণ্যের চালান এবং বিল অব এক্সপোর্ট– অ্যাসাইকোডায় সাবমিট হওয়ার পর, স্টাফিংয়ের সময়ই সম্পন্ন করতে হবে পণ্যের কায়িক পরীক্ষা। এই সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে অ্যাসাইকোডা ওয়ার্ল্ডের ইন্সপেকশন সর্টিফিকেট ও পণ্যের পরীক্ষণ প্রতিবেদন সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে হবে রপ্তানীকারককে। এতে সর্ট শিপমেন্টের জটিলতা নিরসনের পাশাপাশি রপ্তানী কার্যক্রমে গতিশীলতা আসবে বলে মনে করে কাস্টমস। তবে এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক হবার পরামর্শ কাস্টমস কমিশনারের।
এদিকে রপ্তানীকারকরা বলছেন, করোনার প্রভাবে বেশ ক’মাস ধরেই সংকটে রয়েছে দেশের রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো। এই মুহুর্তে নতুন এ পদ্ধতি চাপিয়ে দিলে যে জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে, তাতে এ খাতকে পিছিয়ে দেবে আরো খানিকটা।
আর বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, নতুন এই পদ্ধতি চালুর আগে প্রধান কার্যালয় ছাড়াও অফডকগুলোতে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ২৪ ঘন্টা উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। নইলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে রপ্তানী কার্যক্রম।
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংক থেকে ইস্যুকৃত এক্সপোর্ট পারমিশনের ওপর ভিত্তি করে বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করেন রপ্তানীকারকরা। এতে কায়িক পরীক্ষার সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পণ্যের গড়মিলের কারণে তৈরী হয় নানা জটিলতা। তাই নতুন এই পদ্ধতি কার্যকর করা গেলে সহজীকরণ হবে রপ্তানী কার্যক্রম। কিন্তু এজন্য সবার আগে কাস্টমসের সক্ষমতা বাড়ানোর দাবি সংশ্লিষ্টদের।