০৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ননগ্রীণ ইয়ার্ড গুলো এখনো শ্রমিক ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:০০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • / ১৬০১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের গ্রীণ শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলো বিশ্বমানের হলেও ননগ্রীণ ইয়ার্ড গুলো এখনো শ্রমিক ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ। তাই ২০২৫ সালের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সবগুলো ইয়ার্ডকে গ্রীণ ইয়ার্ডে রুপান্তরের তাগিদ দিয়েছেন আইএমও’র মহাসচিব আর্সেনিও অ্যান্টোনিও ডোমিনগেজ ভেলাসকো। তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, গ্রীণ ইয়ার্ড প্রতিষ্ঠার জন্য বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন। দেশিয় কিংবা আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা ছাড়া যা সম্ভব নয়। আর বিএসবিআরএ বলছে, সবগুলো ইয়ার্ডকে গ্রীণ ইয়ার্ডে রূপান্তরের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় না দিলে বিলুপ্ত হবে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প।

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড সমুদ্র উপকূলের প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প। বছরে গড়ে ২’শো টি পরিত্যক্ত জাহাজ ভেঙে উৎপাদিত হয় অন্তত ৩০ লাখ মেট্রিকটন স্ক্র্যাপ লোহা। যা থেকে লেনদেন হয় কমপক্ষে ১৫ হাজার কোটি টাকা।

খাতা কলমে দেড় শতাধিক শিপ ইয়ার্ড থাকলেও সচল আছে ৩৫ টি। এর মধ্যে গ্রীণ শিপ ইয়ার্ডের মর্যাদা পেয়েছে মাত্র ৪ টি। হংকং কনভেনশন অনুযায়ী ২০২৫ সালের জুন মাসের পর ননগ্রীণ ইয়ার্ডগুলো আর জাহাজ পাঠাতে পারবে না আন্তর্জাতিক শিপিং কোম্পানীগুলো।

বেধে দেয়া সময়ের এক বছর আগে শিল্পের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশন বা আইএমও’র মহাসচিব। একটি ননগ্রীণ ও ও একটি গ্রীণ শিপ ইয়ার্ডের পরিদর্শনের পর গ্রীণ ইয়ার্ডের ক্ষেত্রে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ননগ্রীণ ইয়ার্ডগুলোর মানোন্নয়নের তাগিদ দেন তিনি।

 

তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, গ্রীণ ইয়ার্ডে রূপান্তর করতে হলে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন। যা যোগান দেয়ার সক্ষমতা অধিকাংশ ইয়ার্ড মালিকেরই নেই।

 

আর জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএ বলছে, করোনার পর যুদ্ধের প্রভাব এরই মাঝে ডলারের বাজার অস্থিরতায় ভালো নেই এই শিল্প। এই বাস্তবতায় আইএমওর শর্ত মানতে আরো ৫ বছর সময় চেয়েছেন তারা।

ননগ্রীণ থাকা অবস্থায় পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি ছোট-বড় বিভিন্ন দুর্ঘটনায় শ্রমিক হতাহতের ঘটনা ঘটলেও গ্রীণ ইয়ার্ডে রূপান্তরের পর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে একটি দুর্ঘটনাও ঘটেনি এই চারটি গ্রীণ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ননগ্রীণ ইয়ার্ড গুলো এখনো শ্রমিক ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ

আপডেট সময় : ০৫:০০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

বাংলাদেশের গ্রীণ শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলো বিশ্বমানের হলেও ননগ্রীণ ইয়ার্ড গুলো এখনো শ্রমিক ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ। তাই ২০২৫ সালের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সবগুলো ইয়ার্ডকে গ্রীণ ইয়ার্ডে রুপান্তরের তাগিদ দিয়েছেন আইএমও’র মহাসচিব আর্সেনিও অ্যান্টোনিও ডোমিনগেজ ভেলাসকো। তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, গ্রীণ ইয়ার্ড প্রতিষ্ঠার জন্য বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন। দেশিয় কিংবা আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা ছাড়া যা সম্ভব নয়। আর বিএসবিআরএ বলছে, সবগুলো ইয়ার্ডকে গ্রীণ ইয়ার্ডে রূপান্তরের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় না দিলে বিলুপ্ত হবে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প।

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড সমুদ্র উপকূলের প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প। বছরে গড়ে ২’শো টি পরিত্যক্ত জাহাজ ভেঙে উৎপাদিত হয় অন্তত ৩০ লাখ মেট্রিকটন স্ক্র্যাপ লোহা। যা থেকে লেনদেন হয় কমপক্ষে ১৫ হাজার কোটি টাকা।

খাতা কলমে দেড় শতাধিক শিপ ইয়ার্ড থাকলেও সচল আছে ৩৫ টি। এর মধ্যে গ্রীণ শিপ ইয়ার্ডের মর্যাদা পেয়েছে মাত্র ৪ টি। হংকং কনভেনশন অনুযায়ী ২০২৫ সালের জুন মাসের পর ননগ্রীণ ইয়ার্ডগুলো আর জাহাজ পাঠাতে পারবে না আন্তর্জাতিক শিপিং কোম্পানীগুলো।

বেধে দেয়া সময়ের এক বছর আগে শিল্পের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশন বা আইএমও’র মহাসচিব। একটি ননগ্রীণ ও ও একটি গ্রীণ শিপ ইয়ার্ডের পরিদর্শনের পর গ্রীণ ইয়ার্ডের ক্ষেত্রে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ননগ্রীণ ইয়ার্ডগুলোর মানোন্নয়নের তাগিদ দেন তিনি।

 

তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, গ্রীণ ইয়ার্ডে রূপান্তর করতে হলে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন। যা যোগান দেয়ার সক্ষমতা অধিকাংশ ইয়ার্ড মালিকেরই নেই।

 

আর জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএ বলছে, করোনার পর যুদ্ধের প্রভাব এরই মাঝে ডলারের বাজার অস্থিরতায় ভালো নেই এই শিল্প। এই বাস্তবতায় আইএমওর শর্ত মানতে আরো ৫ বছর সময় চেয়েছেন তারা।

ননগ্রীণ থাকা অবস্থায় পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি ছোট-বড় বিভিন্ন দুর্ঘটনায় শ্রমিক হতাহতের ঘটনা ঘটলেও গ্রীণ ইয়ার্ডে রূপান্তরের পর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে একটি দুর্ঘটনাও ঘটেনি এই চারটি গ্রীণ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে।