নিজের কর্মচারীকে শেকলে বেঁধে নির্যাতন চালিয়েছেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউপি
- আপডেট সময় : ০৩:০৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫৭২ বার পড়া হয়েছে
নিজের কর্মচারীকে শেকলে বেঁধে নির্যাতন চালিয়েছেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিক। পরে দায় থেকে বাঁচতে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে করা হয়েছে এলাকা ছাড়া। চেয়ারম্যান মানিকের হাতে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের শিকার এমন একাধিক মানুষের খোঁজ মিলেছে এসএটিভির অনুসন্ধানে। এসব ঘটনায় হতবাক মানবাধিকার কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে মানিক চেয়ারম্যানের বক্তব্য জানতে গেলে সংবাদ প্রচার বন্ধ রাখতে ঘুষের প্রস্তাব দেন এসএটিভিকে।
শহীদউল্লাহ নামের এই ব্যক্তিকে শেকল দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় স্টাইলে পেটান সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিক। ঘটনাস্থল- চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন কেবিএম ব্রিকফিল্ড। গেল ২১ সেপ্টেম্বর নির্যাতনের পর এখানেই আটকে রাখা হয় শহীদউল্লাহকে। যিনি ছিলেন ওই ব্রিকফিল্ডের ম্যানেজার। সেখান থেকে পালিয়ে এসে সম্প্রতি আদালতে মামলা করার পর ঘটনাটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শহীদউল্লাহর অভিযোগ, চেয়ারম্যানের নানা অপকর্মের সাক্ষী হওয়ায় তার ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন।
পরে দায় এড়াতে শহীদউল্লাহর বিরুদ্ধে দেয়া হয় নারী নির্যাতনের মামলা। এদিকে, চেয়ারম্যান মানিকের নির্যাতনের শিকার এমন একাধিক মানুষের সন্ধান পায় এসএটিভি। ক’দিন আগে শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমর্থক হওয়ার অপরাধে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয়া হয় এই মুদী দোকানীর। ফের নির্যাতিত হবার ভয়ে এখন তিনি এলাকাছাড়া। এর আগে এক যুবলীগ কর্মীকে গাছের সাথে বেঁধে রাতভর নির্যাতন চালানোর অভিযোগও আছে মানিক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। (
একবিংশ শতাব্দীতেও এসে এমন মধ্যযুগীয় নির্যাতনে হতবাক মানবাধিকার কর্মীরা।
সট: অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান, সভাপতি, হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার।
বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে নজরুল ইসলাম মানিকের কাছে গেলে ক্যামেরায় কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে, প্রথমে নিজের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেন। পরে সংবাদ প্রচার না করতে টাকার প্রস্তাব দেন এসএটিভিকে।
পাহাড় কাটা, বনাঞ্চল ধ্বংসসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিক। তার এসব কর্মকাণ্ডে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালেই নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। কখনো মানিকের বাহিনী আবার কখনো তিনি নিজেই চড়াও হন ভুক্তভোগীদের ওপর।