নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এসএ পরিবহনের জায়গা জবরদখল রাজউকের
- আপডেট সময় : ০৪:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৭১৩ বার পড়া হয়েছে
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রাজধানীর কমলাপুরে এসএ পরিবহনের জায়গা জবরদখল করেছে রাজউক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে অভিযান চালিয়ে জায়গায় নির্মিত স্থাপনা ভাঙচুর করে রাজউক। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া এসএ পরিবহনের বৈধ জমিতে কেনো অভিযান চালানো হচ্ছে-তা জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এক প্রকার জোর করেই তারা সীমানা প্রাচীর ঘেরা জায়গার ভেতরে এসএ পরিবহনের বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মালামাল অরক্ষিত রেখে প্রবেশ মুখে তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়।ব্যক্তি মালিকানাধীন ও আদালতে বিচারাধীন জমিতে বিনা নোটিশে অভিযান চালানো ও জবরদখল করা বেআইনি বলে দাবি করেছেন এসএ পরিবহনের কর্মকর্তারা।
ক্রয়কৃত ব্যক্তিমালিকানাধীন এই জমিটির মালিকানা দেশের স্বনামধন্য পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান এসএ পরিবহনের। হালসন পর্যন্ত জমিটির খাজনা পরিশোধিত। ক্রয়ের পর জায়গার চতুর্দিকে সীমানা প্রাচীর দেয় এসএ পরিবহণ।
আকস্মিকভাবে অধিগ্রহণের আওতায় জমিটি আছে বলে দাবি করে রাজউক। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ আদালতের দারস্থ হয় এসএ পরিবহণ। রিট আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই, হঠাৎ করেই কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই, এসএ পরিবহনের ৫১ শতাংশের অধিক জমিটি দখলে নিতে, ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবহার করে অভিযান চালায় রাজউক।
এমন খবর পেয়ে এসএ পরিবহনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চালানো অভিযানের বিষয় আপত্তি জানান। আদালতে এ ব্যাপারে রিট অনিষ্পন্ন থাকার কথাও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়। কিন্তু কোনো কিছু আমলে না নিয়ে, জমিতে নির্মিত এস এ পরিবহনের বিভিন্ন স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দাবি করেন, জমিটি সরকারি অধিগ্রহণ ভুক্ত হওয়ায় দখল নেয়া হয়েছে। এস এ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জানান, কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই অভিযান চালিয়েছে রাজউক। তিনি অভিযোগ করেন,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদের পক্ষে আদালতের নির্দেশনা কিংবা নোটিশের কোনো কিছু দেখাতে পারেননি।
এস পরিবহনের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এসএ পরিবহনের বৈধ ক্রয়কৃত এবং ভোগ দখলে থাকা জমিটি অধিগ্রহণের নামে রাজউক তাদের দাবি করলে, প্রতিকারের জন্য উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হয়। বিনা নোটিশে রাজউকের এমন অভিযান আইনের অপপ্রয়োগ বলেও দাবি করেন মো. নুরুল কাদির।