নির্ধারিত আয়ুষ্কালের অর্ধেক সময়ও টিকছে না ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার এলজিইডি নির্মিত সড়কগুলো

- আপডেট সময় : ১০:৪১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৭৪ বার পড়া হয়েছে
নির্ধারিত আয়ুষ্কালের অর্ধেক সময়ও টিকছে না ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর- এলজিইডি নির্মিত সড়কগুলো। এর ফলে একদিকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারের শত শত কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। নিম্নমানের কাজের পাশাপাশি অনুমোদনহীন ভারী যান চলাচলকে এজন্য দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এলজিইডি বলছে, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সড়কের সক্ষমতা না বাড়ানোর কারণে এ দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার মহেশরোড নামের এই সড়কটি ২০১৬ সালে সবশেষ মেরামত করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এ সড়কের অবস্থা এতটাই নাজুক যে, এখানে কোনোকালে পাকা সড়ক ছিল বলে কেউ ধারণাও করতে পারবে না। এরই মাঝে চলছে অনুমোদনহীন ইট-বালিবাহী ট্রাক্টরসহ ভারী যানবাহন। ফলে কোথাও কোথাও সড়কের মাটি দেবে কিংবা ভেঙ্গে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্তের। এ অবস্থাতেই বাধ্য হয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। সড়কের এ বেহাল দশার জন্য তারা নিম্নমানের কাজকেই বেশি দায়ী করলেন।
জেলার মোট ১ হাজার ৭৫৮ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশেরই কমবেশি এ দুরবস্থা। প্রভাবশালীদের কারণে অবৈধ ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান। আর এলজিইডি দায়ী করেছে সংস্কারকাজে অর্থের অপ্রতুলতাকে। পাশাপাশি ভারী যান চলাচলের জন্য সড়কের ডিজাইন পরিবর্তনে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে জানান এই প্রকৌশলী। এদিকে নিম্নমানের কাজ ও অপচয় রোধ করে সরকারের অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতের কথা জানান জেলা প্রশাসক। কমপক্ষে ২০ বছরের জন্য সড়কের আয়ু অক্ষুন্ন রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের কাছ থেকে গ্যারান্টি নিশ্চিতে বীমা ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।