নির্বাচনের ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৭ শতাংশের মূল পেশা ব্যবসা
- আপডেট সময় : ০৭:১২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১৮০৫ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচনের ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৭ শতাংশের মূল পেশা ব্যবসা। ১৬৪ জনের বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার বেশি। আর ১শ’ কোটি টাকার বেশি সম্পদ ১৮ প্রার্থীর। স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি ৪৮০ জন। সকালে ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দিয়েছে টিআইবি। বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার সম্পদের বিবরণ হলফনামায় গোপন করেছেন একজন মন্ত্রী, জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
‘নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র: জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে এমন বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ ও ‘নো ইউর ক্যান্ডিডেট’ ড্যাশবোর্ড উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। সংবাদ সম্মেলনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের দেয়া হলফনামার তথ্য চিত্র তুলে ধরা হয়। টিআইবির গবেষনা প্রতিবেদন বলছে, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৯৬ জন। যার মধ্যে ১৮ শতাংশ স্বতন্ত্র আর ৮২ শতাংশ দলীয় প্রার্থী। ৫৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ৫৭ দশমিক ৩৪ শতাংশের মূল পেশা ব্যবসা। কোটিপতি প্রার্থীদের মধ্যে ২৩৫ জন আওয়ামী লীগের, ১৬৩ জন স্বতন্ত্র, ৪৭ জন জাপার, ১৭ জন জেপির্, ৭ জন জাসদের, ৬ জন তৃণমূল বিএনপির, ৫ জন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির। প্রার্থীদের মধ্যে অস্থাবর সম্পদ মুল্যের ভিত্তিতে একশ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক ১৮ জন প্রার্থী।
দ্বাদশ নির্বাচনে র্শীষ ২০ কোটিপতি প্রার্থীর মধ্যে শীর্ষে গোলাম দস্তগীর গাজী; যার পরিমান ১ হাজার ৩৪৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। ১৫ বছরের ব্যবধানে আয় বৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০ এমপির মধ্যে র্শীর্ষে পিরোজপুর-২ এর আনোয়ার হোসেন, যার আয় ৭১১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। ১৫ বছরের ব্যবধানে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে ১০ এমপির মধ্যে রাজশাহীর ৪ এর মো. এনামুল হক শীর্ষে। মন্ত্রীদের মধ্যে ৫ বছরের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির; আয় বেড়েছে ২১৩১.১২ শতাংশ। আর সম্পদ বৃদ্ধিতে শীর্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক; তার সম্পদ বেড়েছে ১০৬৩ শতাংশ।
টিআইবির গবেষনায় উঠে আসে, একজন মন্ত্রী হলফনামায় বিদেশে থাকা ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার তথ্য গোপনের চিত্র। যিনি বিদেশে ৫টি কোম্পনীর গড়ে তুলেছেন; কিন্তু সবই হলফনামায় গোপন করেছেন। তবে টিআইবি সেই মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেনি। সরকার, দুর্নীতি দমন কমিশন বা নির্বাচন কমিশন চাইলে সেই মন্ত্রীর সব তথ্য দেবার ঘোষণা দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদশালী হয়েছে এমপি-মন্ত্রীরা। রাজনীতি ও ব্যবসা একাকার হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ব্যবসায়ী রাজনীতি, ক্ষমতাধর একব্যক্তি হওয়ায়, দেশে আগ্রাসী সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ‘নো ইউর ক্যান্ডিডেট’ ড্যাশবোর্ড উদ্বোধন করে টিআইবি।