নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা থামছেই না
- আপডেট সময় : ০৭:৫৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা থামছেই না। তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর কক্সবাজারের চকরিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ এবং নরসিংদীর রায়পুরে সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছে। আহত আরো অন্তত ৪০ জন।
কক্সবাজারের চকরিয়ার বদরখালীতে নৌকা প্রতীকের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফের ভাগ্নেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষ গ্রুপ বদরখালী সমবায় কৃষি উপনিবেশ সমিতির কার্যালয় ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ। চকরিয়া থানার ওসি জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
রোববার রাতে ভোটের ফলাফল গণনার সময় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে প্রিজাইডিং অফিসারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ঘিরে ফেলেন বিএনপি প্রার্থী নুরুজ্জামানসহ সমর্থকরা। নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে এলে তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। প্রায় দেড়ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনজন।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের নির্বাচনী সহিংসতায় বিজিবি সদস্য রুবেল হোসেন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঐ কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জোনাব আলীকে বিজয়ী ঘোষণা করলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে চেয়ারম্যান প্রার্থী মারুফ হোসেনের সমর্থকরা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে কয়েক দফা সংঘর্ষে বিজিবির নায়েক রুবেল নিহত হন। কয়েকজন আহত হয়।
নরসিংদীর রায়পুরায় চান্দেরকান্দি ইউনিয়নে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আরিফ মিয়া নামে এক সিএনজি অটোরিকশা চালক মারা গেছেন।
ভোলার চরফ্যাশনে দফায় দফায় চলছ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা। মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একের পর এক সংঘর্ষ চলছেই। আব্দুল্লাহপুর ৩ নং ওয়ার্ড এবং রসূলপুর ৪ নং ওয়ার্ডে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন আহত হয়। আহতদের চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে