নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নীলফামারীতে নিহত বিজিবি নায়েক রুবেলের বাড়িতে শোকের মাতম
- আপডেট সময় : ০৬:৪৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৬৮৪ বার পড়া হয়েছে
বিজিবি সদস্য রুবেল মিয়া নিহত হওয়ার তিন দিন পরও গ্রেফতার হয়নি আসামীরা। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নীলফামারীর গাড়ামারা ইউপি নির্বাচন শেষে জাতীয় পার্টির পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মারুফ হোসেনের সমর্থকদের হামলায় নিহত হন তিনি। দোষীদের শিগগিরই গ্রেফতারে আশ্বাস দেন বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম। রুবেলের পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের বেইগুনী গ্রামে বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ছিলো বিজিবি’র নায়েক রুবেলের সংসার। নীলফামারীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় রুবেলের মৃত্য কেউ মানতে পারছেনা। পরিবারের এক মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তারা।
এমন মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকা জুড়ে। মৃত্যুর কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও মুল আসামীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।এমন অবস্থায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি স্থানীয়দের।
এদিকে ঘটনার ৩ দিন পর দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকাপ্টার যোগে গেবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারায় আসেন বিজিবির প্রধান মেজর জেনারেল মো: সাফিনুল ইসলাম। পরে নিহত বিজিবি সদস্যের বাড়িতে যান তিনি। পরিবারের সদস্যরা বিজিবি প্রধানকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এসময় সর ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়ে মেজর জেনারেল মো: সাফিনুল ইসলাম বলেন, রুবেল নিহতের ঘটনা মর্মান্তিক। এ ঘটনায় দোষীদের ছাড় দেয়া হবে না।পরে তিনি নিহতের কবর জিয়ারত করেন।
২৮ নভেম্বর নীলফামারীর গাড়ামারা ইউপি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয় বিজিবি নায়েক রুরেল।