নিষেধাজ্ঞা তালিকার দেশ থেকে পণ্য আমদানি বন্ধে সতর্ক করল সরকার
- আপডেট সময় : ০২:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
- / ১৬৪৭ বার পড়া হয়েছে
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশের পণ্য আমদানি বন্ধে সর্তক করেছে সরকার। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় থাকা দেশগুলোর জাহাজ কিংবা পণ্য বাংলাদেশের জলসীমায় ঢোকার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে আমদানিকারকদের চিঠি দিয়েছে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়। তবে ব্যবসায়ীরা বলছে, সুনির্দিষ্ট তালিকা প্রণয়ন না হলে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন কঠিন।
জাতিসংঘ, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশগুলোর মালিকানাধীন জাহাজকে নিজ জলসীমায় প্রবেশ, পণ্য পরিবহন এবং দেশের বন্দর ব্যবহারে আগে থেকেই কঠোর অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।কয়েকবছর আগে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি বহনকারী রাশিয়ার জাহাজকে দেশের জলসীমার বাইরে থেকেই ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এমন দেশ থেকে এলএনজি আমদানি বির্তক ঘিরে আবারও নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। নতুন করে চার দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নৌ পরিবহণ অধিদফতর। নির্দেশনা অমান্যকারীদের জরিমানা এবং লাইসেন্স বাতিলের পাশাপাশি কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বছরে ৩ মিলিয়নের বেশি কন্টেইনার ও ১২ কোটি টন খোলা পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হয়। বিপুল পরিমান এসব পন্য পরিবহনে সরকারি নজরদারি আরও বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি নিষিদ্ধ দেশ ও জাহাজের তালিকার হালনাগাদ তথ্য মন্ত্রণালয়কেই সমন্বয় করে সরবরাহ করতে হবে।
যে কোন পণ্য জাহাজীকরণের সময় আমদানীকারক দেশ থেকেই ছাড়পত্র নিতে হয়। তাই এ ব্যাপারে কঠোর হতে হলে স্টেকহোল্ডারদের চেয়ে সরকারকেই সতর্ক হতে হবে সবার আগে।
দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম দিয়ে বছরে সাড়ে চারহাজারের মতো পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে। এরমধ্যে বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ একশোটি। বাকি জাহাজ বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানীর জাহাজ দেশীয় বিভিন্ন এজেন্টদের মাধ্যমে চলাচল করে।