নোয়াখালীতে ‘লাম্পি স্কিন’ নামক এক ধরণের চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক গরু মারা যাচ্ছে

- আপডেট সময় : ১০:৫১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০
- / ১৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীতে ‘লাম্পি স্কিন’ নামক এক ধরণের চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক গরু মারা যাচ্ছে। এ রোগের কার্যকরী কোনো ওষুধ না থাকায় বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে রোগটি। বাজারে ওষুধ সংকট দেখা দেয়ায় বেড়ে গেছে দাম।এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় পোল্ট্রি খামারে রানীক্ষেতসহ অজ্ঞাত ভাইরাস রোগ দেখা দিয়েছে।এতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বেশিরভাগ মুরগী মারা যাচ্ছে।
প্রাণীসম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯২৯ সালে সর্বপ্রথম আফ্রিকায় লাম্পি স্কিন নামে গরুর এ চর্মরোগ রোগ শনাক্ত হয়। রোগটি বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের বছর জুলাইয়ে। নোয়াখালীতে গত বছরের নভেম্বরে এ রোগ দেখা দেয়। মশা-মাছি ও পোকা মাকড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এ রোগ। আক্রান্ত গরুর চামড়ায় ফোসকা, গায়ে জ্বর, দুর্বল হয়ে পড়া, দুধ উৎপাদন কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় বাজারে ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বেড়ে গেছে ওষুধের দাম। এ ব্যাপারে প্রাণীসম্পদ বিভাগ খামারীদেরকে সচেতন করছে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪ উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ২ হাজার পোল্ট্রি খামার রয়েছে। এসব খামারে ব্রয়লার, সোনালী ও কক জাতের মুরগী পালন করা হয়ে থাকে। হঠাৎ রানীক্ষেতসহ অজ্ঞাত ভাইরাস দেখা দিয়েছে মুরগী খামারে। আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমে ঝিমোনির পর ২০ থেকে ৩০ ঘন্টার মধ্যে মারা যাচ্ছে। এতে ১৫-২০ দিনে হাজার হাজার মুরগী মরে কয়েকশ খামার বন্ধ হয়ে গেছে। খামারীদের অভিযোগ, হাজার হাজার মুরগী মারা গেলেও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কাউকে পাওয়া যায়নি।
খামারীদেরকে এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে জানালেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। চুয়াডাঙ্গায় পোল্ট্রি খামারকে অজ্ঞাত ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা