নড়াইল, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, গাইবান্ধা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার
- আপডেট সময় : ০৮:১০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
নড়াইল, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, গাইবান্ধা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নড়াইলের লোহাগড়ায় মধুমতি নদীতে নিখোঁজের ৩৮ ঘন্টা পর পুলিশ কনষ্টেবল আবু মুসা রেজওয়ানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে কালনা ঘাট এলাকার দক্ষিণে মঙ্গলহাটা এলাকায় নদীতে তার মরদেহটি ভেসে উঠে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কালনা ফেরীঘাটে নির্মানাধীন সেতুর পিলারের সাথে ট্রলারের ধাক্কা লাগলে তিনি ও তার ৭ মাসের শিশু ছিটকে পানিতে পড়ে যায়। তবে তার শিশুপুত্র আনাসের মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি।
গাজীপুরের শ্রীপুরের বহেরারচালা এলাকায় পুকুরে সাঁতার শিখতে নেমে এক কলেজছাত্রসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে বহেরারচালার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সাইফ। বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি পুকুরের পাড়ে সাইফের জুতা, চশমা ও মোবাইল দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে পুকুরে নেমে খুঁজতে থাকে সবাই। কিন্তু তার সন্ধান না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দলের চার সদস্য পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাইফের মরদেহ উদ্ধার করে। একই সময় পুকুরে ডুবে নিখোঁজ ছিলেন কিশোর নাজমুল। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল আজ সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় আশিষ মৈত্র নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুপুরে নিজ ঘরের মধ্যে আশিষের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশিষের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ ধারনা করছে পারিবারিক কলহের জের ধরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আশিষ আত্মহত্যা করতে পারে।
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল রাতে পরিবারের লোকজন ওই গৃহবধূর সাথে খারাপ আচরণ করে। এরপর সকালে স্থানীয় লোকজন বাড়ির সামনে উঠানে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর ভাটপাড়া গ্রাম থেকে মোঃ হুজাইফা নামে সাড়ে ৫ মাস বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির মা রাবিয়া খাতুন ফজর নামাজের ওযু শেষে ঘরে ঢুকে দেখেন তার শিশু নেই। পরে অনেক খুঁজা-খুজির পর পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, প্রেমে ব্যর্থ হয়েই প্রতিশোধ নিতে প্রতিবেশী সামিনা বেগম ও তার স্বামী মোঃ হাফিজকে সাথে নিয়ে ওই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।