পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল অপারেশনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ৪ টি বিদেশী প্রতিষ্ঠান
- আপডেট সময় : ০১:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম বন্দরের নির্মানাধীন পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল অপারেশনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ৪ টি বিদেশী প্রতিষ্ঠান। তবে অপারেশন প্রক্রিয়া এখনো চুড়ান্ত করেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে গেলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অপারেশন শুরু করা হবে। সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়েই শর্ত নির্ধারণ করবে তারা। আর টার্মিনাল অপারেটররা বলছেন, বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে যৌথভাবে অপারেশনের সুযোগ দিলে দক্ষতা বাড়বে তাদেরও। এদিকে বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে দাফতরিক কাজ শেষ করে দ্রুত পিসিটিকে আপারেশনে আনার তাগিদ ব্যবসায়ী নেতাদের।
খাতা কলমে বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার সক্ষমতা আছে ২৬ লাখ টিইইউএস। কিন্তু গেল অর্থবছরে সক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করে ৩০ লাখ টিইইউএসেরও বেশী কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে এই বন্দর। বর্তমান অবকাঠামোই এর বেশী সক্ষমতা দেখানোর সুযোগ নেই। কিন্তু চাহিদা আছে আরো বেশী।
এই বাস্তবতায় কর্ণফূলীর মোহনায় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বা পিসিটি নির্মান করছে সরকার। ইতিমধ্যে যার ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্নও হয়েছে। এ বছরের মধ্যে সীমিত পরিসরে হলেও অপারেশন শুরু হবে নতুন এই টার্মিনালটিতে। যা পরিচালনায় একাধিক বিদেশী প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে আগ্রহও প্রকাশ করেছে। তবে বন্দরের পরিকল্পনা ভিন্ন।
২২০ মিটারের একটি ডলফিন জেটির পাশাপাশি ৬০০ মিটারের তিনটি কন্টেইনার জেটিতে বছরে সাড়ে ৪ লাখ কন্টেইনার উঠা-নাম করবে পিসিটিতে।
এককভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় এই টার্মিনালটি পরিচালনার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় টার্মিনাল অপারেটররা। তবে দেশীয় অপারেটরদের দাবি, নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে এখানে যৌথ পরিচালনা কিম্বা দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া উচিত।
চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি মংলা বন্দরের সক্ষমতাও বাড়তে শুরু করেছে। পায়রা বন্দরের বহুমুখি ব্যবহারও শুরু হওয়ার পথে, মাতারবাড়ি গভির সমুদ্রুবন্দরের নির্মাণকাজও এগিয়ে চলেছে দ্রুত। প্রক্রিয়াধিন আছে বে-টামিনালের প্রকল্পও। এই বাস্তবতায় দেশীয় টার্মিনাল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা বাড়াতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে। ফুটেজ-৩ ও ফুটেজ-১