পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য ভূমিকা রাখবে জাতীয় অর্থনীতিতেও
- আপডেট সময় : ০৫:৪০:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের বাকী আছে আর মাত্র ৩ দিন। ২৫ শে জুন খুলছে এর দুয়ার। সাতক্ষীরাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এই জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে। ফলে জেলার উৎপাদিত পণ্য, কৃষি, মৎস্য ও শিল্প ক্ষেত্রে যোগ হবে অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্যে। পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে প্রত্যাশা জেলার বিশিষ্টজনদের।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী সম্ভাবনাময় জেলা সাতক্ষীরা। সুন্দরবনের কোল ঘেষে দেশের দ্বিতীয় চিংড়ি উৎপাদনকারী জেলা এটি। সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা। দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ স্থলবন্দর ভোমরার অবস্থান এই জেলায়। কৃষিতে সমৃদ্ধ জেলার উৎপাদিত পন্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে রপ্তানি করে অর্থনীতিতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
পদ্মা সেতু চালুর মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরার সার্বিক অর্থনৈতিক তৎপরতা জোরদার হবে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন গতি আসবে। তবে পদ্মা সেতু পারাপারে নির্ধারিত টোল কমানোর দাবি জানান স্থানীয় পরিবহন ব্যবসায়ীরা।
পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে এই অঞ্চলের ব্যবসায়-বানিজ্য সম্প্রসারনসহ ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে।
পদ্মা সেতু দেশের হোয়াইট গোল্ড খ্যাত সাতক্ষীরার চিংড়ী শিল্পের রপ্তানিতে যোগ করবে নতুন মাত্রা।
উন্নত যোগাযোগ সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রনে সহায়ক হবে বলে মনে করেন পুলিশ সুপার।আরএ অঞ্চলের অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের প্রত্যাশা জেলা প্রশাসকের।
পদ্মা সেতু কৃষি, মৎস্য ও শিল্প ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্যের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে এমনটাই মনে করেন সাতক্ষীরাবাসী।