পাহাড়ে মসলা চাষ: পরিকল্পনার আওতায় আসবে দুর্গম এলাকাও
- আপডেট সময় : ০৫:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫৮৪ বার পড়া হয়েছে
বছরে ৪৪ প্রজাতির মোট ৪৯ লাখ টন মসলার চাহিদা আছে বাংলাদেশে। এর ৬০ শতাংশ দেশে উৎপাদিত হলেও বাকিটা এখনো উচ্চদামে আমদানি করতে হয়। তবে, বর্তমানে এসব মসলা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন পতিত পাহাড়ে উৎপাদিত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পাইলট প্রজেক্ট সফল হওয়ায় এখন বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা। পরিকল্পিত চাষাবাদের আওতায় আসবে দুর্গম পাহাড়ও।
খাগড়াছড়ি সদরের তাংতাকপাড়ার বাসিন্দা ম্রাসাথোয়াই মারমা। নিজের বসত বাড়ির নিচে পাহাড়ের ঢালে আলুবোখড়া, দারুচিনি, গোল মরিচ, তেজপাতার মতো দামি মশলার চাষ করেছেন তিনি। আড়াই বছর আগে পতিত জমি পরিস্কার করে মসলার বাগন তৈরী করেন। গেল বছর ভালো ফলন পেয়েছেন। পাশাপাশি কলম পদ্ধতির ব্যবহার করে চারা উৎপাদনে নেমেছেন নিজেই।
ম্রাসাথোয়াইয়ের দেখাদেখি বিভিন্ন পাহাড়ে অনেকেই গড়ে তুলেছেন মশলার বাগান। মশলা গবেষনা কেন্দ্রের পরামর্শে ২০১৯ থেকে চাষের উদ্যোগ নেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। প্রথম পর্যায়ে ভারত থেকে আনা চারা দিয়ে শুরু করলেও এখন ফলনের পাশাপাশি মাতৃ বাগান তৈরির কাজও চলছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচলিত ফসল উৎপাদন হলেও পরিবহণ ও বাজারজাত করা কঠিন। তাই, অপেক্ষাকৃত হালকা ও উচ্চ দামের মশলার চাষ ছড়িয়ে দিতে দুর্গম এলাকাকে বেছে নেয়া হচ্ছে।
১০৯ ধরণের মসলার উৎপাদন হয় গোটা বিশ্বে। দেশে ৩৪ প্রজাতির চাষ হয়। বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করে ৪৪টি। বাকি ১০ প্রকার মশলা আমদানি করতে হয়।