পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত
- আপডেট সময় : ০৫:১৫:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
- / ১৭৬৯ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলায়। গতকাল রাত থেকে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
সকালে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার ২৬টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব ধরনের নৌ চলাচল ও বিদুৎ বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যাপক প্রভাব পরেছে জনজীবনে। উপকূলীয় জনসাধারণকে সাইক্লোন শেল্টারে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
আইলা, সিডর, আম্পানের পরে আবারও ঘূর্নিঝড়ের খবরে আতংকগ্রস্ত সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ। ষাটের দশকের বেড়িবাঁধের ভঙ্গুর দশায় আবারও প্লাবনের আশংকায় তারা। যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্ততি নেয়া হয়েছে,প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।
ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিপাতে ঝিনাইদহে সকাল থেকে সড়ক, মহাসড়কে মানুষের চলাচল কমেছে। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল থেকে কোস্ট গার্ডের সহযোগিতায় লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
বৈরী আবহাওয়ায় জীবনযাত্রা অচল হয়ে পরেছে ভোলাতেও। সব রুটে নৌ চলাচল বন্ধ। চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সকালে আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদসংকেত ঘোষণা করার পর এই সিদ্ধান্ত জানায় চট্টগ্রাম বন্দর।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে কক্সবাজারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশানস। ভ্রমণরত পর্যটকদের সতর্ক করতে সৈকতে টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে লাল পতাকা। বন্ধ রয়েছে সেন্টমার্টিন নৌ-পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকাগুলো ইতোমধ্যেই উপকূলে ফিরে এসেছে।