পিলখানা ট্রাজেডির ১১ বছর আজ
- আপডেট সময় : ০২:১৫:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৭৩৮ বার পড়া হয়েছে
পিলখানা ট্রাজেডির ১১ বছর আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে বিদ্রোহের নামে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বিডিআর প্রধানসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে। দিনটি উপলক্ষে বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এবং সেনা বাহিনী প্রধান পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। বিজিবি প্রধান পুষ্প অর্পন করে জানান, ক্ষত কাটিয়ে আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত বর্ডার গার্ড।
তৎকালীন বিডিআর তথা বর্তমান বিজিবি সদর দপ্তরের অভ্যন্তরে ১১ বছর আগের এ দিনটি ছিলো নারকীয় ও বিভৎস্য। পাশবিকতা ও নির্মমতার জঘণ্য ইতিহাস লেখা হয়েছিলো দিনটিতে। নির্দয় একদল বিডিআর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ নিরস্ত্র সেনা কর্মকর্তা। এঘটনায় নিহত হয়েছিলো বেসামরিক আরো ১৫ জন। দিনটি উপলক্ষে বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান, তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন শহীদদের স্বজনরা।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও অন্য দুই বাহিনীর প্রধান। শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিবরতা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। শহীদদের মাগফেরাত কামনায় অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ দোয়া। উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিজিবি প্রধান। ১১ বছর আগের এ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় এলেও কার্যকর হয়নি। ২০১৭ সালে ১৩৯ জনের ফাঁসি ও ১৪৬ জনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখেছে হাইকোর্ট। তবে কার্যকর হয়নি এখনো। কবরস্থান প্রাঙ্গনে উপস্থিত অশ্রুসিক্ত স্বজনদের কারো কারো বিচার নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও অনেকেই সন্তোষ জানান। এছাড়া কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। সবারই প্রত্যাশা, বর্বরতা ও নারকীয়তার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না বাংলাদেশ।