পেট্রোবাংলার খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে অনিয়ম স্বজনপ্রীতির অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৩:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২
- / ২০৩৮ বার পড়া হয়েছে
খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে অনিয়ম, নিয়োগে জালিয়াতি, সংযোগ নিয়ে স্বজনপ্রীতি এমনকি পদন্নতিতে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার একাধিক সাবেক চেয়ারম্যান। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক, জ্বালানী মন্ত্রণালয় এমনকি সংসদীয় কমিটির আলাদা তদন্তে দোষী প্রমাণিত হয়েও স্বাভাবিক নিয়মে অবসরে গেছেন সাবেক এসব আমলারা। তবে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক এসব কর্মকর্তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় অধিনস্ত ১৩টি কোম্পানীসহ পুরো জ্বালানী খাতকেই জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।
২০১৪ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর ৩১টি পদে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে ওঠে পেট্রোবাংলার তৎকালিন চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুরের বিরুদ্ধে । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এতে পরীক্ষার খাতা টেম্পারিং ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর জালিয়াতির প্রমাণ পেয়ে হোসেন মনসুররহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অসম চুক্তি, সংযোগে অনিয়মসহ নানান অভিযোগ ওঠে ড. হোসেন মনসুরের বিরুদ্ধে।
পেট্রোবাংলার সবশেষ চেয়ারম্যান এবিএম ফাত্তাহ। সংযোগের নামে গ্রাহক হয়রানী জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদন্নতি, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো প্রশ্রয় দেয়াসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে ফাত্তাহর বিরুদ্ধে। কিন্তু এতকিছুর পরও স্বাভাবিক অবসরে গেছেন তিনি।
এ ব্যপারে নিজের বক্তব্য জানাতে অস্বীকার করেন এবিএম ফাত্তাহ। আর দুদক কর্মকর্তাদের রোষানলের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন হোসেন মনসুর।
নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় তাদের অধিনস্ত কোম্পানীগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করছে দুর্নীতি বিরোধী সংগঠন টিআইবি।
দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অবসরে যাওয়া এসব কর্মকর্তাদের অবসরকালীন সুবিধা বাতিল করার দাবি জানান বিশ্লেষকরা।