প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সারাদেশে শেষ হলো শারদীয় দুর্গাপূজা
- আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫৬৫ বার পড়া হয়েছে
দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে সারাদেশে শেষ হলো শারদীয় দুর্গাপূজা। দোলায় চড়ে বাবার বাড়িতে আসা দেবীদুর্গা হাতীতে চড়ে ফিরে যান স্বামীর বাড়ী কৈলাশে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আয়োজন করা হয় দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জনের। এর আগে সকালে পুষ্পাঞ্জলি ও দেবী দুর্গাকে সিঁদুর দিয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। প্রথা মেনে রমণীরা অংশ নেন সিঁদুর খেলায়।
সবখানেই যেন বিষাদের সুর। দেবী দুর্গা ফিরে যাচ্ছেন স্বামীর ভিটায়। দুপুরের পর রাজশাহীতে বিদায়ের পর্ব শুরু হয়। বিকেলে ভক্তরা চোখের জলে বিদায় জানান দেবী দুর্গাকে। রাজশাহীর মন্দিরে মন্দিরে ছিলো বিষাদের ছায়া। সেখানে ৪টি ঘাটে ৮৭টি দেয়া হয় প্রতিমার বিসর্জন।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন দেন ভক্তরা, আয়োজন চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তবে করোনার কারনে অন্যবারের মতো শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা ছিলো না এবার।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন সম্পন্ন হয়। তবে এইবার করোনা মহামারীর কারণে শোভাযাত্রা ছাড়াই বিসর্জন সম্পন্ন হয়। এবার ছিল না রং ছিটানো। চলে আতশবাজির খেলা। এছাড়া ছিল না তেমন কোন আনুষ্ঠানিকতাও।
বিকেলে খুলনার বিভিন্ন মন্দির থেকে পুজা বিসর্জন শুরু হয়। নগরীর৫ টি পয়েন্টে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। খুলনায় এ বছর ৯৭৮টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেটে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বিসর্জন শুরু হয় দুপুরের পর। সকালে দশমী ও বিহিত পূজায় অংশ নেন ভক্তরা। বিধি-নিষেধের কারণে শোভাযাত্রায় ভক্তদের সংখ্যা ছিলো অন্য বছরের তুলনায় কম।
সকালে বরিশালে অনুষ্ঠিত হয় দশমী ও দর্পন বিসর্জন। দুপুরে সিঁদুর খেলায় অংশ নেন দেবীর নারী ভক্তরা। সন্ধ্যায় নগরীর কীর্তনখোলা নদীর বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন চলে। মন্দিরে মন্দিরে বাজানো হয় বেহাগের সুর। ৬শ’ ১৭টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হয় শারদীয় দুর্গাপূজা।
ময়মনসিংহে বিকেলে ব্রহ্মপুত্র নদে একে একে প্রতিমা বিসর্জনের প্রক্রিয়ায় অংশ নেন ভক্তরা। প্রতিমা বিসর্জন সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটুসহ দেবীর ভক্তরা।