প্রীতম-নওশাবার ‘আড়াল’
- আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
- / ১৫৮০ বার পড়া হয়েছে
বিনোদন প্রতিবেদক : আগামী ২৭ অক্টোবর মুক্তি পেতে যাচ্ছে নাজমুল নবীন পরিচালিত চরকি ফ্লিক ‘আড়াল’। সম্পূর্ণ ভিন্ন এক গল্পে নির্মিত এই কনটেন্টে অভিনয় করেছেন প্রীতম হাসান, কাজী নওশাবা, সুমন আনোয়ার, গ্রিহী প্রমুখ।
মনপুরা দ্বীপের স্থানীয় এক মসজিদের মুয়াজ্জিন সিদ্দিক ভোর রাতে নিজের ঘরের মেঝেতে আবিষ্কার করে এক নারীর মরদেহ। গ্রামে যদি জানাজানি হয় ঘরে মরদেহ তাহলে কি কি হতে পারে সেসব ভেবে হয়রান সিদ্দিক। কিন্তু ঘটনা বাঁক নেয় তখন যখন পুলিশ এই মরদেহ খুঁজে পাই না। আড়ালে থাকা এই গল্প জানতে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় চরকিতে চোখ রাখুন।
এরই মধ্যে চরকির ফেসবুক পেজে প্রীতম হাসানের লুক রিভিল করে একটি পোস্ট দেয়া হয়েছে। যেটা নিয়ে দর্শক বেশ আলোচনা করছে। সেই সঙ্গে টিজারও বেশ প্রশংসা পাচ্ছে।
মসজিদের মুয়াজ্জিন সিদ্দিক চরিত্রে দেখা যাবে সঙ্গীতশিল্পী প্রীতম হাসানকে। এই কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘গতানুগতিক চরিত্র আমার পছন্দ না। আমি সব সময় চেষ্টা করি নতুন কিছু করার। কাজের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ থাকলে আমি বেশ উপভোগ করি। যে কাজটা একবার হয়ে যায় সেটা আসলে রিপিট করার কোনো মানে হয় না। সেক্ষেত্রে আড়াল এর গল্পটা একদম ইউনিক। খুব ভালো ও ভিন্ন কিছু দেখবে দর্শক।‘
আড়াল-এ নিজের লুক নিয়ে প্রীতম বলেন, ‘এই লুকটা তৈরি করার জন্য টিমের সঙ্গে কয়েকবার বসা হয়েছে। কীভাবে পুরো চরিত্রটা তৈরি করা যায় এটা নিয়ে কয়েকবার করে ভেবেছি। আমার মোছ কেটে ফেলার পর দেখি আমি চেহারা একদম বদলে গেছে। সেই সাথে আমার হাঁটা-চলা, কথা বলার ধরন, বডি ল্যাংগুয়েজ সবকিছু বদলানো লেগেছে। যেটা আমার জন্য সহজ ছিল না।‘
আড়াল-এর আরেক অভিনেতা কাজী নওশাবা বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমি খুব অবাক হই সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞ এটা ভেবে যে আমাকে ভিন্ন রকমের সব চরিত্রের জন্য বলা হয়। মিষ্টি কিছু খুব ব্যতিক্রমধর্মী কাজ ছিল। আর আড়াল খুব গহীনের গল্প। আত্ম উপলব্ধির, নিজেকে আয়নায় দেখার গল্প। এই বিষয়গুলো ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব পছন্দের। মানুষ আড়াল আসলে সর্বপ্রথম নিজের কাছ থেকে হয়। তারপর ধীরে ধীরে পরিবার, সমাজ সবকিছু থেকে আড়াল হয়ে যায়। আমাদের কনটেন্ট আড়াল কেন আড়াল হলো এটা আসলে দর্শক দেখলে জানতে পারবে।‘
পরিচালক নাজমুল নবীন বলেন, ‘গল্পটা অনেক ধরনের প্রশ্ন তৈরি করছিল, পীড়া দিয়েছিল যে কারণেই এই গল্পটা নিয়ে কাজ করা। আমরা আমাদের চারপাশে যখন সাইকোলজিক্যাল গল্প শুনি বা দেখি তা আমরা সবসময় শহরের প্রেক্ষাপটে চিন্তা করি। কিন্তু এই গল্পটা একদম গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে নির্মিত। আমাদের সমাজের যে চরিত্রগুলোকে খুব কম দেখানো হয় আমি চেষ্টা করেছি সেই চরিত্রগুলোকে তুলে আনতে।‘
পরিচালক আরও বলেন, ‘আমি একদম আমার পরিচিত গণ্ডির বাইরে গিয়ে কাজটা করেছি। মনপুরার মতো একটা লোকেশনে কাজ করাটা আমাদের পুরা টিমের জন্য নতুন ছিল। আর যে এলাকায় শ্যুট করেছি সেখানেও কখনও শ্যুটিং হয়নি। তো সব মিলিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি ভালো কিছু নির্মাণ করার।‘