প্লাস্টিকের বর্জ্য কুড়িয়ে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে পেট চালান এক হাজার দরিদ্র পরিবার
- আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১৭৬১ বার পড়া হয়েছে
খুলনা মহানগরীতে ময়লার ডিপো থেকে প্লাস্টিকের বর্জ্য কুড়িয়ে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে পেট চালান প্রায় এক হাজার দরিদ্র পরিবার। বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙনে সর্বস্ব হারানো মানুষের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন এটাই। তবে এই কাজে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন, সিভিল সার্জন।
এক যুগ আগে ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে কয়রা থেকে খুলনায় শহরে আসেন তাসলিমা বেগম। পরে শহরতলী কৈয়ে বাজার এলাকায় ময়লা ডিপোর পাশে কুঁড়েঘর বানিয়ে তিন সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি। তার রোজগার এই ডিপো ঘিরেই।
শুধু তাসলিমা বেগমই নন, খুলনা শহর ও শহরতলিতে তার মত প্রায় এক হাজার মানুষের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন কেসিসির গৃহস্থালি বর্জ্য ও ময়লার ডিপো। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে শহরে এসে এ কাজ করছেন তারা। খুলনা মহানগরী থকে ৮’শ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নেয়া হয়। আর এই ডার্ম্পিং গ্রাউন্ড থেকেই প্লাস্টিকের বর্জ্য কুড়িয়ে বিক্রি যে টাকা পান, তা দিয়েই চলে সংসার।
ময়লার ডিপোর আশপাশেও শহরের ভেতরে ৫০টির ওপর ভাঙারির দোকান রয়েছে। প্রতিমাসে এসব দোকান থেকে প্রায় ১৫০টন বোতলসহ প্লাস্টিকের বর্জ্য প্লাস্টিক রিসাইকেল কারখানায় বিক্রি হয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য কর্মকর্তা বলেন, শহরের তিন পয়েন্টের মধ্যে একটি পয়েন্ট চালু রয়েছে। বাকি দুটি পয়েন্টে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবহার করে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, কম্পোজ সার তৈরি করা হবে।
খুলনা সিভিল সার্জন বলছেন, যারা বর্জ্য সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে জড়িত, তারা সব সময় স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে থাকেন। সুরক্ষা ব্যবস্থা না নিয়ে এ কাজে নিয়োজিত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গৃহস্থালি বর্জ্য অপসারণ ও ময়লার ডিপোতে কর্মরত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত না হলে রোগ প্রতিরোধ সম্ভব নয়, বলছেন চিকিৎকরা।