ফল পাওয়ার পরই বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা

- আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৬০ বার পড়া হয়েছে
জেএসসি-পিইসি পরীক্ষার ফল পাওয়ার পরই বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ভালো ফলাফলের আনন্দ বন্ধু-বান্ধব, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয় তারা। পিইসি-জেএসসি’র সাফল্য ধরে রেখে আগামীতেও আরো ভালো ফলাফলের প্রত্যয় ছিলো প্রত্যেকের কণ্ঠে। তবে শিক্ষকরা বলছেন, এ ধরনের পরীক্ষা শিশুদের ওপর ভীষণ চাপ তৈরি করায় মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। পড়ার চাপে যেন বাচ্চাদের ক্ষতি না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ।
ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এই বাঁধ ভাঙা উচ্ছাস জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা পাসের। এই উল্লাসই জানান দিচ্ছে তাদের সাফল্যের গল্প। মঙ্গলবার দুপুর একটায় ফল প্রকাশের পর থেকেই উৎসবে মেতে ওঠে প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেনী সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। প্রত্যাশিত ফলের তালিকায় নিজেদের নাম্বারটি খুজে পাওয়ায় পৃথিবীর সব সুখ যেনো শিক্ষার্থীদের হাতের মুঠোয় এসে ধরা দেয়। চুড়ান্ত মুল্যায়নটি হাতে পাওয়ার পর তাদের অনুভূতিও ছিলো অসাধারণ।
একই চিত্র ছিলো ভিকারুন্নিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল, রাজউক স্কুলসহ ঢাকার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ জুড়ে। সন্তানের সাফল্য দারুণভাবে উপভোগ করেন অভিভাবকরাও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা মনে করছেন, জিপিএ-ফাইভ জরুরি নয়, জরুরি হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। জিপিএ ফাইভের প্রতিযোগিতা অসুস্থ। তাই এখান থেকে বের হয় আসতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের প্রত্যাশা– অব্যাহত রাখতে হবে এই সাফল্যের এই ধারা।