০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ফুটপাতে চা বিক্রি করেন মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ সাংবাদিক এমএ সাঈদের ছেলে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:১১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এখন রাজশাহীর ফুটপাতে চা বিক্রি করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ সাংবাদিক এমএ সাঈদের ছেলে এসএম আলমগীর বাবলু। নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনালে ছোট্ট একচালার স্টলের আয় থেকে কোনো রকমে চলে তার সংসার। কখনো কারো কাছে চাননি কোনো সহযোগিতাও। আবার রাষ্ট্রীয় সুবিধা দিতে খোঁজও নেয়নি কেউ। ফলে শহীদ সন্তান বাবলুর এখনো দিন কাটছে কষ্টে।

তখন দৈনিক আজাদ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করতেন এম এ সাঈদ। ছিলেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি। এরইমধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু। দেশ স্বাধীনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজশাহীতে আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। জুনের মাঝামাঝিতে রাজাকারদের সহযোগিতায় নগরীর ষষ্ঠীতলার বাড়ি থেকে তাকে ধরে নিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে নির্যাতনের পর সাংবাদিক সাঈদসহ ১৩জনকে একসঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার মরদেহও ফিরে পায়নি পরিবার।

ওই সময় রাজশাহী সরকারি কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ছিলেন বাবলু। কিন্তু বাবাকে হারিয়ে পুরো সংসারটাই তছনছ হয়ে যায়। আর লেখাপড়া হয়নি। শহীদ সাংবাদিক সাঈদের অন্য ছেলেমেয়েরা এখন যে যার মতো সংসারী। কিন্তু যে আশায় দেশ স্বাধীনের স্বপ্ন দেখে জীবন দিয়েছেন বাবা, তা আজো অধরা বাবলুর জীবনে।

রাজশাহী শহরের শিল্পী, সাংবাদিক ও সাহিত্যিকদের নিয়ে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলেছিলেন সাংবাদিক সাঈদ। এ কারণে হানাদার বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর প্রথম ৪০ বছর সরকারী কোনো সুযোগ-সুবিধাই পায়নি এই শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তবে কয়েক বছর আগে সাংবাদিক সাঈদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেও শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি এখনো।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ফুটপাতে চা বিক্রি করেন মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ সাংবাদিক এমএ সাঈদের ছেলে

আপডেট সময় : ১১:১১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

এখন রাজশাহীর ফুটপাতে চা বিক্রি করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ সাংবাদিক এমএ সাঈদের ছেলে এসএম আলমগীর বাবলু। নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনালে ছোট্ট একচালার স্টলের আয় থেকে কোনো রকমে চলে তার সংসার। কখনো কারো কাছে চাননি কোনো সহযোগিতাও। আবার রাষ্ট্রীয় সুবিধা দিতে খোঁজও নেয়নি কেউ। ফলে শহীদ সন্তান বাবলুর এখনো দিন কাটছে কষ্টে।

তখন দৈনিক আজাদ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করতেন এম এ সাঈদ। ছিলেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি। এরইমধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু। দেশ স্বাধীনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজশাহীতে আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। জুনের মাঝামাঝিতে রাজাকারদের সহযোগিতায় নগরীর ষষ্ঠীতলার বাড়ি থেকে তাকে ধরে নিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে নির্যাতনের পর সাংবাদিক সাঈদসহ ১৩জনকে একসঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার মরদেহও ফিরে পায়নি পরিবার।

ওই সময় রাজশাহী সরকারি কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ছিলেন বাবলু। কিন্তু বাবাকে হারিয়ে পুরো সংসারটাই তছনছ হয়ে যায়। আর লেখাপড়া হয়নি। শহীদ সাংবাদিক সাঈদের অন্য ছেলেমেয়েরা এখন যে যার মতো সংসারী। কিন্তু যে আশায় দেশ স্বাধীনের স্বপ্ন দেখে জীবন দিয়েছেন বাবা, তা আজো অধরা বাবলুর জীবনে।

রাজশাহী শহরের শিল্পী, সাংবাদিক ও সাহিত্যিকদের নিয়ে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলেছিলেন সাংবাদিক সাঈদ। এ কারণে হানাদার বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর প্রথম ৪০ বছর সরকারী কোনো সুযোগ-সুবিধাই পায়নি এই শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তবে কয়েক বছর আগে সাংবাদিক সাঈদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেও শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি এখনো।