ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে সারাদেশে উদযাপন
- আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে সারাদেশে উদযাপন করা হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসুচি শুরু হয় সব জেলায়। পরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, বধ্যভূমি, গণকবর ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসকসহ সাধারণ মানুষ।
রাজশাহীতে নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
যথাযোগ্য মর্যাদায় খুলনায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় নানা কর্মসূচি।
বরিশালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে প্রথমে শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা জানান।
সিলেটেও মহান বিজয় দিবসে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ এবং মহানগর পুলিশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রামে বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে মেট্রোপলিটন পুলিশের চৌকশ দল। শহীদ মিনারে সবার আগে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
শ্রদ্ধা আর যথাযথ মর্যাদায় রংপুরেও উদযাপন করা হয় মহান বিজয় দিবস। প্রথম প্রহর রাত ১২ টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পনের মধ্য দিয়ে দিবসের সুচনা করা হয়।
ময়মনসিংহে নগরীর পাটগুদামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি।
গাজীপুরে জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জেলা শহরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ।
বগুড়ায় মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুম্পমাল্য অর্পণ এবং আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপন করা হয়েছে।
মহান বিজয় দিবসে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেছে ভোলার সর্বস্তরের জনগণ। জেলা প্রশাসক চত্বরে ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ এবং বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ।
ঝিনাইদহে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয় মহান বিজয় দিবস। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সংসদ সদস্য আব্দুল হাই।
শেরপুরে মহান বিজয় দিবসে স্মৃতিস্তম্ভ পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়েছে। ভোরে শেরপুর সদর থানা প্রাঙ্গণে একত্রিশ বার তোপধ্বণির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়।
মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে কুষ্টিয়ায় পৌর গোরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে ফাতেহা পাঠ, জিয়ারত ও পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন ও যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানসহ মুক্তিযোদ্ধা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাগেরহাট শহরের দশানী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা হয়।
ফেনী শহরের জেল রোডে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে একে একে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
গোপালগঞ্জে শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। এতে জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও সামাজিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।