ফেনীতে প্রকট আকার ধারন করেছে জ্বর, ডায়রিয়ার,কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডা জনিত রোগ। তাই জেনারেল হাসপাতালের শয্যার চেয়ে দ্বিগুণ বেশী রোগী গাদাগাদী করে ভর্তি রয়েছে।এতে আসন না পেয়ে অনেকে বারান্দায় আশ্রয় নিচ্ছে।সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

ঠান্ডাজনিত রোগে খিচুনি জ্বর, ডায়রিয়াসহ শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে জেলায়। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন কম বয়সী শিশু ও বৃদ্ধরা। গত ৭ দিনে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৫ শতাধিক রোগী। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মাত্র ১৭টি বেড থাকলেও গড়ে প্রতিদিন রোগী ভর্তি হচ্ছেন ৫০ থেকে ৬০ জন।পাশাপাশি ২৬ বেডের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ৬২ জন। হঠাৎ রোগীর চাপ বাড়ায় বারান্দায় ও মেঝেতে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। সেবা দিতে হিমশিম অবস্থা স্বাস্থ্যকর্মীদের।

প্রতিবছর দূষিত খাবার ও পানির অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে রোটা ভাইরাসের শিকার হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। আর শয্যার চেয়ে বেশি রোগী থাকায় নির্ধারিত আসনের বাইরে রোগীদের সরকারী ওষুধ ও আসন দেয়া যাচ্ছে না। তবে জায়গা সঙ্কুলানসহ লোকবল সংকট থাকালেও হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবী তারা দিনরাত নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

দুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহসহ জনবল ও আসন সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে এমনই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।