ফের চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসেছে মার্কিন প্রতিনিধি দল
- আপডেট সময় : ০৯:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৪৯ বার পড়া হয়েছে
ফের চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসেছে মার্কিন কোস্টগার্ডের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধি দল। এই দলের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রসহ তার মিত্র দেশগুলো সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দর কেন্দ্রীক যোগাযোগ কেমন হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, মার্কিন সুপারিশ শতভাগ বাস্তবায়ন না হলেও অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট প্রতিনিধি দল। আর বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সমৃদ্ধ করতে হলে, নিরাপত্তার ব্যাপারে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে এমন দেশগুলোর বন্দর ব্যবস্থাপনার নিরাপত্তার বিষয়গুলো দেখভাল করে সেদেশের কোস্টগার্ডের একটি বিশেষজ্ঞ দল। নিয়মানুযায়ী দলটি বছরে একবার করে সংশ্লিষ্ট বন্দরগুলো পরিদর্শনে আসে। কিন্তু এ বছরই চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে দুবার।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অসন্তোষ জানিয়ে ২০১৭ সালে ১৬ দফা সুপারিশ করে মার্কিন বিশেষজ্ঞ দল। গেল আগষ্ট মাসে তার অগ্রগতি দেখতে এসে ফের ৫ দফা সুপারিশ করে তা বাস্তবায়নে নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দেয়। নির্ধারিত সময় পর মঙ্গলবার ফের এসেছে দলটি। কিন্তু সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হয়নি আজো। এতে উদ্বিগ্ন বিজিএমইএ।
৫ দফা সুপারিশের মধ্যে পুরো বন্দর সিসিটিভির আওতায় আনা, সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধির শর্ত কিছুটা বাস্তবায়ন হলেও বন্দরের অভ্যন্তর থেকে পণ্য ডেলিভারি সিস্টেম বন্ধ ও রপ্তানীমুখি কন্টেইনার শতভাগ স্ক্যানিংয়ের আওতায় আনাই প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডা।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, মার্কিন সুপারিশমালার অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকিগুলোর ব্যপারে আন্তরিকতার অভাব নেই- সেটা মার্কিন প্রতিনিধি দলকে বোঝানো গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা ছাড়াও ১৮ টি পোর্ট রিলেটেড এরিয়া ও ১৫ টি পোর্ট ফ্যাসালিটি এড়িয়াসহ মোট ৩৪ টি স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে রেখেছে মার্কিন প্রতিনিধি দল।