০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

অন্যকে ফাঁসাতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করা আ’লীগ নেতা কারাগারে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:১৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৭১৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্যকে ফাঁসাতে মাদারীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ভাঙলেন বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি।

মাদারীপুরের রাজৈরে দলীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব খালাসীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।সোহরাব রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বদরপাশা ইউনিয়নের রাজারবাজার এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবিও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় রাজারবাজার এলাকার আব্দুস ছালাম খালাসী নামে একজন বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব খালাসীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। দায়ের করেন। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব খালাসী ও মামলার বাদী ছালাম খালাসীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, সম্প্রতি ছালাম খালাসী বাদী হয়ে সোহরাব খালাসীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের একটি মামলা করেন। এর জেরে ছালাম খালাসীকে ফাঁসাতে সোহরাব খালাসী নিজেই দলীয় কার্যালয়ে বসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ছবি ভাঙচুর করে দোষ চাপান ছালাম খালাসীর ওপর।

মামলার বাদী ছালাম খালাসী বলেন, আমাকে দলীয় ভাবে হয়রানি করতে সোহরাব নিজেই লোকজন নিয়ে কার্যালয় ভাঙচুর করে। কিন্তু ভাঙচুরের ভিডিও আমাদের কাছে ছিলো। তাই আমাকে ফাঁসাতে গিয়ে তিনি নিজেই ফেঁসে গেলেন।

রাজৈর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, দুই ব্যক্তির মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকে আওয়ামী লীগের অফিস, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ছবি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আমরা মূল অপরাধীকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় মূল আসামির সঙ্গে আরও যারা ছিলেন তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অন্যকে ফাঁসাতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করা আ’লীগ নেতা কারাগারে

আপডেট সময় : ১২:১৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

অন্যকে ফাঁসাতে মাদারীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ভাঙলেন বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি।

মাদারীপুরের রাজৈরে দলীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব খালাসীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।সোহরাব রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বদরপাশা ইউনিয়নের রাজারবাজার এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবিও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় রাজারবাজার এলাকার আব্দুস ছালাম খালাসী নামে একজন বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব খালাসীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। দায়ের করেন। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব খালাসী ও মামলার বাদী ছালাম খালাসীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, সম্প্রতি ছালাম খালাসী বাদী হয়ে সোহরাব খালাসীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের একটি মামলা করেন। এর জেরে ছালাম খালাসীকে ফাঁসাতে সোহরাব খালাসী নিজেই দলীয় কার্যালয়ে বসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ছবি ভাঙচুর করে দোষ চাপান ছালাম খালাসীর ওপর।

মামলার বাদী ছালাম খালাসী বলেন, আমাকে দলীয় ভাবে হয়রানি করতে সোহরাব নিজেই লোকজন নিয়ে কার্যালয় ভাঙচুর করে। কিন্তু ভাঙচুরের ভিডিও আমাদের কাছে ছিলো। তাই আমাকে ফাঁসাতে গিয়ে তিনি নিজেই ফেঁসে গেলেন।

রাজৈর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, দুই ব্যক্তির মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকে আওয়ামী লীগের অফিস, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ছবি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আমরা মূল অপরাধীকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় মূল আসামির সঙ্গে আরও যারা ছিলেন তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।