বঙ্গবাজারে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে সিআইডি
- আপডেট সময় : ০৬:১২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৭৪৪ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে সিআইডি৷ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে৷
এ সময় সিআইডির এসএসপি (ডিএমপি সাউথ) আনিসুর রহমান সমকালকে বলেন, এখন পর্যন্ত আগুন লাগার কোনো কারণ জানতে পারিনি৷
তিনি জানান, যেকোন ধরনের বড় ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে আমরা মাঠে থাকি৷
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে মঙ্গলবার ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ৷ এ কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে৷
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৬টায় রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে৷ অগ্নিনির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা কাজ করেছেন৷ বিমানবাহিনীর দুটি বেল-২১২ ও দুটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার পর্যবেক্ষণ মিশনও আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়৷ এ ছাড়া পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার সেখানে দায়িত্ব পালন করে৷ প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷
আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে৷ এখন পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ নিয়ে কোনো সংস্থা স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেনি৷ তদন্ত শেষে তাঁরা এ ব্যাপারে মত দেবেন৷ তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ীর দাবি, বঙ্গবাজারের ১০ ফুট গলি থেকে আগুনের সূত্রপাত৷
ব্যবসায়ীরা জানান, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের ভেতর চারটি মার্কেট৷ সেগুলো হলো-বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট৷ কাঠ ও টিনের তৈরি এই মার্কেটগুলো তিনতলার৷ সেখানে তিন হাজারের মতো দোকান আছে৷ এর সবকটি পুড়ে গেছে৷ বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স লাগোয়া সাততলা এনেক্সকো টাওয়ার মার্কেটের একাধিক তলায় আগুন লাগে৷ এর দক্ষিণ পাশে আছে মহানগর কমপ্লেক্স৷
দোতলার এই মার্কেটটি টিনের৷ ওই মার্কেটও ছাই হয়ে গেছে৷ এ ছাড়া বঙ্গবাজারের উল্টোপাশে চারতলা বঙ্গ ইসলামিয়া ও সাততলা বরিশাল প্লাজা নামে আরও দুটি মার্কেটের একাধিক তলায় আগুন ছড়ায়৷ সব মিলিয়ে আট মার্কেটের পাঁচ হাজারের বেশি দোকান ও গুদাম ভস্মীভূত হয়৷
ডয়চে ভেলে