বছর খানেক ঘাপটি মেরে ভয়ংকর রুপে আত্মপ্রকাশ কেএনএফের
- আপডেট সময় : ১০:০১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
- / ২৫০৮ বার পড়া হয়েছে
বছর খানেক ঘাপটি মেরে ফের ভয়ংকর রুপে আত্মপ্রকাশ করলো পার্বত্য অঞ্চলের নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন কুকিচীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ।এবার তারা টার্গেট করেছে ব্যাংক বীমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারী অফিস। দুই দিনের ব্যবধানে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি করেছে তারা। এ ঘটনা রহস্যজনক দাবি করে পার্বত্য এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
দু’বছর আগে নিজেদের সশস্ত্র ট্রেনিংসহ ভয়ংকর ও নৃশংসতার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে আত্মপ্রকাশ করে নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ। এরপর থেকেই যৌথ অভিযানের পাশাপাশি কুকি চিনের সঙ্গে সমঝোতার উদ্যোগও নেয় সরকার। দফায় দফায় বৈঠকের পর আগামী ১৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক সমঝোতা হওয়ার প্রক্রিয়া চলছিলো।
কিন্তু এরই মাঝে হঠাৎ করেই নিজেদের ভয়ংকর রূপ দেখালো কুকি চিন। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত রুমা ও থানচির তিনটি ব্যাংকে সশস্ত্র হামলা চালানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসীরা চড়াও হয় সরকারী অফিসগুলোতেও। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নিরাপত্ত্বা বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই বছরেরও বেশি সময় আগে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিলেও নতুন এই সংগঠনটির ওপর যে পরিমান গোয়েন্দা নজরদারি থাকা উচিত ছিলো তা হয়নি এখনো। আর এই কারনেই নির্বিঘ্নে এতবড় অপারেশন চালাতে পেরেছে তারা।
বিগেডিয়ার শহীদুল্লাহর মতে শান্তীচুক্তির কারনে পার্বত্য এলাকায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি কমানোর সিদ্ধান্তও নতুন নতুন সংগঠনের অপতৎপরতা বাড়ার অন্যতম কারণ। আর মেজর এমদাদ মনে করেন গত দুই দিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পার্বত্য এলাকার নিরাপত্ত্বা রক্ষায় নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে।
বান্দরবানের দুর্গম এলাকাগুলোতে কুকি চিনের তাণ্ডব চললেও এই ঘটনায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা পার্বত্য এলাকায়। স্থানীয়দের সংকা কুকি চিনের পাশাপাশি নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে নতুন করে সহিংস হয়ে উঠতে পারে জেএসএস, ইউপিডিএফের মতো সশস্ত্র সংগঠনগুলোও।