১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বরিশালে তরমুজের দাম পাচ্ছে না কৃষক

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৪১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৬৩০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফলন বাম্পার হলেও করোনার কারণে পরিবহন ব্যয় চার থেকে পাঁচ গুন বৃদ্ধি পাওয়ায় বরিশালে তরমুজের দাম পাচ্ছে না কৃষক। আর পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে পাইকারও। এ কারণে তরমুজ কেনায় কোন প্রতিযোগিতা না থাকায় যে যার মতো করে দাম বলছে। এতে উৎপাদন খরচও মেলাতে পারছে না কৃষক।

এ বছর বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ২৪ হাজার ৬শ’ ৮৮ হেক্টর জমিতে ১০ লাখ টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৫ কেজি এবং সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৫ কেজি ওজনের তরমুজ উৎপাদন হওয়ায় খুশি হয় কৃষক। কিন্তু সে খুশি স্থায়ী হয়নি। যখন তরমুজ কেটে আড়তে নিয়ে আসা হলো তখনই দেখা দিলো বৈশ্বিক মহামারি করোনা।

এ অবস্থায় আড়তদাররা যে দাম বলছে, তাতে উৎপাদন ব্যয় দূরের কথা বছরে জমির ভাড়া বাবদ যে টাকা গুনতে হবে তাও মিলছে না। এরপর যারা দাদন নিয়েছে, তারা আড়তদারের নির্ধারিত মূল্যে তরমুজ বিক্রিতে বাধ্য হওয়ায় বড় ধরনের লোকসানে পড়তে যাচ্ছে কৃষক।

করোনার কারনে পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তরমুজ চাষী ও আড়তদার উভয়ই বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছে, বললেন আড়তদাররা।

কৃষি কর্মকর্তা বললেন, বেশীরভাগ কৃষক পাইকারদের কাছ থেকে দাদনে টাকা নিয়ে তরমুজ চাষ করায়, সঠিক মূল্য না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষক লোকসান পুষিয়ে উঠতে সরকারের কাছে প্রনোদনার দাবি জানাবে।

এ বছর হেক্টর প্রতি তরমুজ উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। তরমুজ বিক্রির পর হেক্টর প্রতি আয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। করোনায় পরিবহন সংকটে আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়েছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বরিশালে তরমুজের দাম পাচ্ছে না কৃষক

আপডেট সময় : ০৫:৪১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০

ফলন বাম্পার হলেও করোনার কারণে পরিবহন ব্যয় চার থেকে পাঁচ গুন বৃদ্ধি পাওয়ায় বরিশালে তরমুজের দাম পাচ্ছে না কৃষক। আর পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে পাইকারও। এ কারণে তরমুজ কেনায় কোন প্রতিযোগিতা না থাকায় যে যার মতো করে দাম বলছে। এতে উৎপাদন খরচও মেলাতে পারছে না কৃষক।

এ বছর বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ২৪ হাজার ৬শ’ ৮৮ হেক্টর জমিতে ১০ লাখ টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৫ কেজি এবং সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৫ কেজি ওজনের তরমুজ উৎপাদন হওয়ায় খুশি হয় কৃষক। কিন্তু সে খুশি স্থায়ী হয়নি। যখন তরমুজ কেটে আড়তে নিয়ে আসা হলো তখনই দেখা দিলো বৈশ্বিক মহামারি করোনা।

এ অবস্থায় আড়তদাররা যে দাম বলছে, তাতে উৎপাদন ব্যয় দূরের কথা বছরে জমির ভাড়া বাবদ যে টাকা গুনতে হবে তাও মিলছে না। এরপর যারা দাদন নিয়েছে, তারা আড়তদারের নির্ধারিত মূল্যে তরমুজ বিক্রিতে বাধ্য হওয়ায় বড় ধরনের লোকসানে পড়তে যাচ্ছে কৃষক।

করোনার কারনে পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তরমুজ চাষী ও আড়তদার উভয়ই বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছে, বললেন আড়তদাররা।

কৃষি কর্মকর্তা বললেন, বেশীরভাগ কৃষক পাইকারদের কাছ থেকে দাদনে টাকা নিয়ে তরমুজ চাষ করায়, সঠিক মূল্য না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষক লোকসান পুষিয়ে উঠতে সরকারের কাছে প্রনোদনার দাবি জানাবে।

এ বছর হেক্টর প্রতি তরমুজ উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। তরমুজ বিক্রির পর হেক্টর প্রতি আয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। করোনায় পরিবহন সংকটে আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়েছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।