বরিশালে বিক্ষোভের জেরে ১৭ রুটে পরিবহন বন্ধ
- আপডেট সময় : ০৯:০৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
পরিবহন শ্রমিকদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৭টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাস-মালিক সমিতি। হামলা-পাল্টা হামলার জেরে চারদিন ধরে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে চলছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচি। এতে করে হাজার হাজার যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে । তিনদফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে প্রশাসনকে দেখা গেছে নিষ্ক্রিয় থাকতে। এদিকে মাতৃভাষা দিবসে ভাষাশহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আগামীকাল অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার সূত্রপাত ১৫ ফেব্রুয়ারী। বাসের টিকেট নিয়ে বচসার জেরে বাস কাউন্টারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হামলা করে। এরপর পরিবহন শ্রমিকরা পাল্টা হামলা চালায়। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। প্রতিবাদে রাতেই বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
পরদিন বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী সেদিন গভীর রাতে রূপাতলী হাউজিংয়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া মাহমুদুল হাসান তমালের মেসে আক্রমণ করে পরিবহণ শ্রমিকেরা। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তমালকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন মেসের শিক্ষার্থীরা। তখন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চলে।
তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের গত তিনদিনে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেলে একই দাবিতে মশাল মিছিল বের করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়। এরপরও দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় আবারো মহাসড়কে নেমে আসেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলায় দুই পরিবহন শ্রমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ হন রূপাতলী বাস মালিক সমিতি এবং শ্রমিক নেতারা। শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে সকাল থেকে ১৭টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
পুলিশ অভিযুক্তদের সনাক্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান প্রক্টর।
রূপাতলী বাস মালিক সমিতির নেতাদের দাবি, নিরীহ শ্রমিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি এবং অহেতুক হয়রানি বন্ধ না করলে শ্রমিকদের আন্দোলন চলবে বলেও হুমকি তাদের।
তবে এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো।