বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্দা উঠলো বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে বছরব্যাপী আয়োজনের
- আপডেট সময় : ০১:৩২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মার্চ ২০২০
- / ১৫৫২ বার পড়া হয়েছে
বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্দা উঠলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে বছরব্যাপী আয়োজনের । গেলো রাত আটটায় বর্ণিল আলোকচ্ছটায় স্বাধীনতার স্থপতিকে স্মরণের মাধ্যমে শুরু হয় মুজিববর্ষের উদ্বোধনী আয়োজন ‘মুক্তির মহানায়ক’। বর্ণিল উপস্থাপনে তুলে ধরা হয় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও কর্মজীবন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। আর জাতির পিতার আদর্শে দেশে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
১৭ মার্চ রাত ৮টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর জাতীয় অনুষ্ঠানমালা।
সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে দু’ ঘন্টাব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠান ‘মুক্তির মহানায়ক’ শুরু হয় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে।
বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ স্মরণীয় দিনে জাতি ও বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষনে, জন্মশতবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য আয়োজন যথাযথ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের জন্য দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, বাঙ্গালীর প্রতিটি লড়াই সংগ্রাম অর্জনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন একক অপরিহার্য নেতৃত্ব। নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীতে জাতিগঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
বিশ্বব্যাপী নভেল করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণে সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতির কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, গুজবে কান না দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আইইডিসিআর নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।
মুজিব শতবর্ষের এ মাহেন্দ্রক্ষনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগন ও বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালিকে একটি জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের মর্যাদা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। দুঃখী মানুষকে ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে নিজের জীবনের সব সুখ-আরাম বিসর্জন দিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন আজীবন। সে ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। নবীন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।
মুজিববর্ষের উদযাপনে ভিডিও বার্তার মধ্য দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবি ভারী, ভূটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, ওআইসি মহাসচিব।
জাতির পিতার জীবন ঘনিষ্ট নাচ গানের আয়োজনে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধুর কণিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। তিনি বলেন, ত্যাগ আর মানবকল্যানই ছিল বঙ্গবন্ধুর ধর্ম।
পরে বঙ্গবন্ধুর জীবিত দুই উত্তরসূরি ছোট কন্যা শেখ রেহানা রচিত কবিতা আবৃত্তি করেন, বড় কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নাচ গান আর হরেক রকম বর্নিল আয়োজনে মূর্ত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবন।