বাজেট তৈরিতে আইএমএফ’র শর্ত
- আপডেট সময় : ১১:১৪:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
- / ১৯৮৭ বার পড়া হয়েছে
বাজেট কাঠামোতে বড় পরিবর্তন আনতে আইএমএফ’র শর্ত মানলে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন,আইএমএফকে সন্তুষ্ট করতে প্রণয়ন হতে পারে আসছে অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। তাই নানা খাতে ভর্তুকি কমানোর পাশাপাশি প্রণোদনা দেয়া সেক্টরগুলোর প্রতি খড়গহস্ত হবে সরকার। অনিয়ম দুর্নীতি ও সিস্টেম লস নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিক হওয়ার দাবি উদ্যোক্তাদের। অন্যদিকে, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশি উৎসের ওপর বেশি নির্ভরশীল হলে সাধারণ মানুষের চাপে বাড়বে।
আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে প্রতি মাসে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও তেলের দাম সমন্ময়ের নামে বাড়ানো, ব্যাংক ঋণে সুদহারের সীমাবদ্ধতা তুলে নেয়াসহ আয় বৃদ্ধি ও ব্যায় সংকোচনের নানান নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। খাতা কলমে ডলারের দাম খোলা বাজারে ছেড়ে না দিলেও বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। এই বাস্তবতায় আসছে বাজেট কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা এখন সবখানে। কয়েকমাস ধরেই বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেক হোল্ডাদের মতামতও নিয়েছে এনবিআর। বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে মোকাবিলা করতে ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়নের দাবি তাদের।ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, গেল কয়েক বছর ধরেই আমদানী কমিয়ে দেশিয় উৎপাদন বাড়ানোর কাগুজে নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। যার অপব্যবহার হচ্ছে হরহামেশা। এতে ডলার সংকট নিরসনের আড়ালে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনীতি।
আর অর্থনিতিবিদরা বলছেন, আইএমএফের শর্ত মেনে হঠাৎ করে বাজেট কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনলে ভেঙ্গে পড়বে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা। এর থেকে উত্তরনে দুই পক্ষের মধ্যে সমন্বয় করে মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতিতে প্রণয়ন করতে হবে জাতীয় বাজেট।বৈশ্বিক বাস্তবতায় বিদেশি উৎসগুলোর টানাপোড়েনে দেশি উৎসগুলো থেকে আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকবে আসছে বাজেটে। কিন্তু তার জন্য প্রনোদোনার ব্যবস্থা না হলেও অন্তত নীতিগত সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে।