বাজেট সংকটে ফের বন্ধের উপক্রম হয়েছে চট্টগ্রামের দুটি করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল
- আপডেট সময় : ০৪:৫০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
রোগী ভর্তির একদিন পরই বাজেট সংকটে ফের বন্ধের উপক্রম হয়েছে চট্টগ্রামের দুটি করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল। কর্তৃপক্ষ বলছেন, অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে মন্ত্রণালয়ের চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগেই স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতাল দুটি খোলা হলেও, চলতি সপ্তাহর মধ্যে বাজেট না পেলে, চালু রাখা সম্ভব হবে না। উদ্বিগ্ন চিকিৎসক নেতারা এব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা চলছে বিআইটিআইডি, আন্দরকিল্লা জেনারেল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখানে সর্বসাকুল্যে শয্যা সংখ্যা রয়েছে ২৮০টি। আর আইসিইউ আছে মাত্র ১০টি। কিন্তু শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে।
অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে চার বছর ধরে পরিত্যাক্ত হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল আর রেলওয়ের বক্ষব্যাধি হাসপাতালকে প্রস্তুত করে সোমবার থেকে রোগী ভর্তি শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু করোনা চিকিৎসার জন্য এই হাসপতাল দুটি এখনো মন্ত্রণালয়ের চুড়ান্ত অনুমোদন না পাওয়ায় তৈরী হয়েছে জটিলতা।
করোনা সংকটের শুরুতে চট্টগ্রামের ১২টি বেসরকারি হাসপাতালকে পর্যায়ক্রমে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু মালিকদের আপত্তির মুখে পিছু হটে হলি ক্রিসেন্ট ও রেলওয়ের পরিত্যাক্ত হাসপাতালকে প্রস্তুত করতে শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে ক্ষোভ জানান চিকিৎসকরা।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গত সপ্তায় ইউএসটিসি ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালকে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু দুটি হাসপাতালই তাদের মুল স্থাপনা ব্যবহার করতে দিতে রাজি হয়নি। এই অবস্থায় পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থাকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে না পারলে পরিস্তিতি মোকাবিলা কঠিন হবে।
চট্টগ্রামের প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। দুই মাসের ব্যবধানে এই সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন হাজার। কিন্তু বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা সেবায় বাড়েনি হাসপাতাল।