বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উচ্চ হারের টোল
- আপডেট সময় : ০৩:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
- / ১৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
দেশের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণে প্রতিবন্ধকতা হতে চলেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উচ্চ হারের টোল। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবৃদ্ধি। উচ্চ হারের টোল থাকায় বিকল্প পথ খুঁজবে ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, এই টোল পুনর্বিবেচনা না করলে, সরকারের অগ্রাধিকার পাওয়া মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে না সাধারণ মানুষ। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন টোল নির্ধারণ করতে হবে।
দৈনিক ৬ থেকে ৭ হাজার পণ্যভর্তি কন্টেইনারবাহী গাড়ি বের হয় চট্টগ্রাম বন্দরের গেইট দিয়ে; যার অন্তত ২৫ থেকে ৩০ শতাংশের গন্তব্য দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। বর্তমানের এসব পণ্য পরিবহণগুলো মাওয়া ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করে।
এতোদিন তাদের আশা জাগিয়েছিলো স্বপ্নের পদ্মাসেতু। কিন্তু এই সেতুর জন্য নির্ধারিত টোল দেখে হতাশার কথা জানান পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
পণ্য পরিবহণ মালিকদের সংগঠনগুলো বলছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানী পণ্য দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে নিয়ে যাওয়া পরিবহনগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফেরার সময় খালি আসে। তাই উচ্চহারের টোল দিয়ে তাদের পক্ষে স্বপ্নের সেতু ব্যবহার করা কঠিন।
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুটি পয়েন্টে কথিত ওজন স্কেলের কারণে, পরিবহণ খরচ কমাতে রেল ও নৌপথে ঝুকছে আমদানি-রপ্তানি কারকরা। এর ওপর পদ্মা সেতুর উচ্চ হারের টোল মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে উঠবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, পদ্মা সেতুর সুফল পেতে হলে, সবার আগে ব্যবহারকারীদের স্বার্থই দেখতে হবে। সেটাফ
পদ্মা সেতু পার হতে প্রাইভেট কারের জন্য ৭৫০ টাকা, মাইক্রোবাস ১৩শ’, পিকআপ ১২শ, যাত্রীবাহী বড় বাস ২৪শ’, ৩ এক্সেলের পণ্যবাহী ট্রাক সাড়ে ৫ হাজার, ৪ স্কেল ৬ হাজার তার ওপরের প্রতি স্কেলের জন্য অতিরিক্ত দেড় হাজার টাকা টোল নির্ধারণ করেছে সরকার। যা দেশের যে কোন সেতু, এমনকি ফেরী থেকে দ্বিগুনেরও বেশি।