বাম্পার ফলন হলেও শ্রমিক সংকটে বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
- আপডেট সময় : ০৮:০৫:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০
- / ১৫৭২ বার পড়া হয়েছে
বাম্পার ফলন হলেও শ্রমিক সংকটে বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার ও যশোরের কৃষকরা। সময়মতো ধান কাটতে না পারলে আগাম বন্যা, ঝড়-বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষেতেই ফসল নস্ট হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটছে তাদের। তবে স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকলীগ ,ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন পাশে দাড়ানোয় আশার আলো দেখছেন চাষীরা। ধানকাটা থেকে শুরু করে গোলায় তোলা পর্যন্ত কাজ করছেন তারা। বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে যে দিকেই চোখ যায়, শুধুই পাকা ধানের সমারোহ। তবে, কৃষকের কষ্টে ফলানো ধান ঘরে তোলা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। করোনার প্রভাবে শ্রমিক না থাকায়,পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না ময়মনসিংহের চাষীরা । কৃষক লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধান কেটে দেয়ায় উচ্ছ্বসিত তারা।
এমন দুর্যোগে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের দায়িত্ববোধের কথা জানালেন কৃষকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এদিকে রোগ-বালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে মৌলভীবাজারে বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু একদিকে করোনা শ্রমিক সংকট অন্যদিকে আগাম বন্যার আশংকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা। জেলার হাকালুকি, কৃত্তায়াদিঘী ও হাইল হাওর ছাড়াও বিভিন্ন মাঠে ইতিমধ্যে পাকতে শুরু করেছে বোরো ধান। তাই কম সময়ে ও স্বল্প খরচে ধান কাটার আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের পরামর্শ জেলা কৃষি বিভাগের।
সংকট নিরসনে করোনায় কর্মহীন ভ্যান ও রিক্সা চালক, চা শ্রমিকসহ এলাকার যুবকদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক। এদিকে যশোরের ৮ উপজেলার মাঠে মাঠে এখন পাকা বোরো ধান।করোনার প্রভাবে এ বছর কৃষি শ্রমিক সংকট থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক । পাশাপাশি মৌসুমী ঝড় বৃষ্টিতে অনেকের পাকা ধান তলিয়ে গেছে।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, লকডাউনে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।তাই শিগগিরই শ্রমিক সংকট কেটে যাবে। কৃষি বিভাগের হিসেবে, যশোরে এ বছর ১ লাখ ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে।